সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » অনলাইন ভালোবাসা » ভালবাসা একটি মানসিক এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা
ভালবাসা একটি মানসিক এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা
ভালবাসা একটি মানসিক এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের একটি শক্তিশালি বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে “ভালবাসা”। মানুষের ভালবাসা সৃষ্টি হয় তার মনের অনুভূতি থেকে। এটি একটি আবেগ তারিত বিষয়। কেউ এর বাইরে নয়। ভালবাসা সৃষ্টি হয় দু’টি মনের অন্তরালে। কখন যে কার মনে ভালবাসার বীজ বুনবে, সে কখনও বুঝতে পারবে না। ভালবাসা মানে কোন বাধা-বিপত্তির এক অধ্যায়। তার বিরুদ্ধে অনেক ঝড় আসবেই। তাকে কিন্তু আটকানো কারোর সাধ্য বিন্দু মাত্র নেই। ভালবাসা হল ঈশ্বর প্রদত্ত। যদি কেউ বলে সে ভালবাসার বিরুদ্ধে। তখন তবে কোন বস্তুর সাথে তুলনা করা যায় না। কারণ প্রতিটি বস্তুর মাঝে ভালবাসা রয়েছে। একজন মানুষের ভালবাসা কিসে? তার ভালবাসা সৃষ্টি হয় মনের আবেগ থেকে। যদি সে কাউকে কখনও সত্যিকারের ভালবাসে তবে সে তার ঘুমে-জাগরণে তাকে সবসময় কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকবে। তার প্রেমিক যদি একটু চোখের আড়াল হয়। তবে তার মনে হয় এই বুঝি তাকে আমি হারালাম। এই ‘ভালবাসা’ হল এক ঈশ্বরিক বিষয়। ঈশ্বর প্রতিটি মানুষের মাঝে ভালবাসার সৃষ্টি করেছে। ইশ্বর তার নিজ হাতে মানুষের মনে ‘ভালবাসা’ নামক এক মধুর জিনিস যুক্ত করে দিয়েছে। যখন কেউ কাউকে ভালবাসে। তখন তার ভালবাসার মানুষটির যদি কোন অসুবিধা বা বিপদ হয়। তবে সে মন থেকে বুঝতে পারে। এটা একটা মনোকেন্দ্রিক। সে তার ভালবাসার মানুষটির কাছে বার বার ছুটে যায়। তাকে এক পলক চোখের আড়াল করলে মনে হয় সে আর বেঁচে নেই। কেউ কাউকে ছাড়া কোন কল্পনা করতে পারে না। মন ছাড়া ভালবাসা কল্পনা করা যায় না।
ভালবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া। এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরণের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন ররম হতে পারে। যেমন- নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। ভালবাসার অনুভূতি গুলো মানুষকে নাড়া দেয় সব সময়। ভালোবাসার মানুষটা কাছে না থাকলেই আরো বেশি বিষেশিত করে তোলে। যখন মানুষটা দূরে চলে যায়। তখনই মানুষ সব কিছু ভালোভাবে করতে শিখে। ভালবাসার মাঝে হাজারো কষ্ট আসবে। সেই কষ্টগুলো হয়ে উঠে অনেক বেদনার। সেই সময় ঘুমন্ত মনকে জাগ্রত করে সেই পুরানো স্মৃতি গুলোকে। ‘ভালবাসা’ পবিত্র একটি বিষয়। এই ভালবাসা সৃষ্টির উষালগ্ন হতে এসেছে। সৃষ্টির আদি মানব থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত চলে থাকবে এই ভালোবাসার অনুভূতি গুলো।
ভালোবাসার অনুভূতির প্রমাণ স্বরূপ অনেক গুলো স্থাপনা রয়েছে এই পৃথিবীতে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভারতের আগ্রার তাজমহল। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজ মারা যাওয়ার পর। তার ভালোবাসার কথাগুলো মনে করতে থাকে। সেই ভালোবাসার অনুভূতি থেকে তৈরি করেন। তিনি এই তাজমহল তৈরি করেন। তিনি এই তাজমহল যেটা এখন বিশ্বের একটা বিশেষ স্থাপনার মধ্যে একটি। ভালোবাসার মানুষটা যখন কোন কারণে দূরে চলে যায়। তখনি তাকে নিয়ে ভাবতে থাকে। কেন হল এমনটা, কেন করল, এটা না করলেও পারত। হয়তবা তার দোষ বা আমার দোষ এটা, মনে করতে থাকে।
ভালোবাসার মাঝে যদি কোন ঝসড়া-ঝাটি না থাকে তাহলে সেই ভালোবাসার মধ্যে কোন পূর্ণতা থাকে না। ঝসড়া-ঝাটি হলেই ভালোবাসার অনুভূতি গুলো উঠে আসবে। যেমন- বট গাছের নিচে বসে আড্ডা মারার কথা গুলো। প্রেমিকার ঠোঁটে আলতো ছোঁয়ার কথা, পাশাপাশি বসে হাতে হাত রেখে গল্প করার কথা হাজারো স্বপ্ন দেখার কথা গুলো।
প্রেমিকার জন্য প্রেমিক অনেক রকম ত্যাগ শিকার করে প্রেমিকার জন্য রাত জেগে কবিতা লিখে সারাদিন প্রেমিকাকে শোনানো। এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি।
লিখেছেন-সবুজ কুমার রায়
প্রধান সড়ক, কল্যাণপুর, ঢাকা।