সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
শনিবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » সাইবার হামলার হুমকির মুখে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » সাইবার হামলার হুমকির মুখে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী
৬৫৬ বার পঠিত
শনিবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাইবার হামলার হুমকির মুখে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী

সাইবার হামলার হুমকির মুখে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীভয়াবহ সাইবার হামলার হুমকির মুখে রয়েছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী। এ ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করে দেশটির কমনস ডিফেন্স সিলেক্ট কমিটিতে থাকা এমপিরা এক প্রতিবেদনে জানান, শিগগিরই এ ধরনের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। খবর গার্ডিয়ানের।

সরকারের বর্তমান সাইবার নীতির সমালোচনা করে এ কমিটি জানায়, ‘পদ্ধতি, জনবল, শিক্ষা, দক্ষতা, চিন্তাভাবনা এবং নীতির মতো বিষয়গুলো এখনই নতুন করে সাজাতে হবে। সাইবার জগতে এ বিষয়গুলোর সুবিধা ও দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে।’

২০১০ সালে কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা বিভাগের জোট সাইবার নিরাপত্তাকে প্রথম স্তরের অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করে। এর অংশ হিসেবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা, অনলাইন নিরাপত্তা প্রচারণা সমর্থন এবং ইলেকট্রনিক আড়িপাতা বিভাগ জিসিএইচকিউয়ের জন্য ৬৫ কোটি পাউন্ড আলাদা করে রাখে এ জোট। সেসঙ্গে সরকারের সব বিভাগকেই সাইবার নিরাপত্তাকে তাদের কর্মপরিকল্পনার শীর্ষে রাখতে বলা হয়।

কমিটির প্রতিবেদনে একমাত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (এমওডি) কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে অতি গোপনীয় গ্লোবাল অপারেশনস সিকিউরিটি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, যার দায়িত্বে রয়েছেন এয়ার কমডোর টিম বিশপ। সামরিক, বেসামরিক এবং বেসরকারি ঠিকাদারদের সমন্বয়ে গঠিত এ কেন্দ্রটিতে কাজ করেন ফুজিত্সু, বিটি, প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ইএডিএস এবং ব্যাবককের মতো কোম্পানিগুলো থেকে ভাগিয়ে আনা কর্মীরা।

অবশ্য ব্রিটিশ এমপিরা সাইবার হামলা হলে কে দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এমপিরা জানান, বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পুরোপুরি সাইবার যোগাযোগের ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তথ্য-প্রমাণ ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতিরক্ষা বাহিনী এতটাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল যে, কোনো ধরনের সাইবার হামলা হলে তাদের কার্যক্রমের সক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাবে। শুধু প্রতিরোধ করার চেষ্টা দিয়েই কাজ হবে না; এ ধরনের আক্রমণ হলে সরকার কীভাবে তা মোকাবেলা করবে, তাও সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন। যদি সরকারের এমন পরিকল্পনা না থাকে; তাহলে তা স্বীকার করে জরুরিভিত্তিতে এ ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’

এমপিরা জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আক্রমণাত্মক সাইবার অস্ত্র তৈরির জন্য সামরিক বাহিনীকে অধিক পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। প্রতিবেদনে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্বিগুণ জোরদার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেসঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়েও এ ধরনের কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এমপিরা বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল একটি বিষয়। এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে মন্ত্রী পর্যায়ের তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর হাতে সরকারের বিভাগগুলোকে যথাযথভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদেশ দেয়ার ক্ষমতা থাকা উচিত।’

এই প্রতিবেদনে এমপিরা জানতে চান, সাইবার যুদ্ধের সময় কারা নেতৃত্ব দেবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য সরকারে এ ধরনের হামলার মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।
এমপিরা জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিলেও সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সরবরাহকারীও সাইবার হামলা শিকার হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে এদের মনোযোগ খুবই কম। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সরবরাহকারীদের ফাঁকফোকর গলে শত্রুরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাইবার হামলা চালাতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেশির ভাগ প্রত্যক্ষদর্শীই শিগগিরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু তার আর বাস্তবায়ন হয় না।’
ব্রিটিশ সরকার অবশ্য সাইবার হামলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দেশকে দায়ী করতে নারাজ। তবে জিসিএইচকিউয়ের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের কিছু দেশকে ইঙ্গিত করেছেন।

জিসিএইচকিউর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাশিয়া আর চীনই এ ধরনে ইলেকট্রনিক আক্রমণের পেছনে বেশি মদদ দিয়ে থাকে। শুধু রাষ্ট্র নয়, দেশের শিল্পগুলোও তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু।’
লেবার পার্টির নেতা ও ছায়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মারফি এ প্রতিবেদনকে খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘নীতি প্রণয়নের কাজ সামরিক বাহিনীর ওপর থাকা হুমকির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোচ্ছে না। দুর্বলতাগুলো জরুরি ভিত্তিতে কাটানো উচিত। আর মন্ত্রীদের উচিত, এ প্রতিবেদন অনুযায়ী নিজ নিজ বিভাগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’



আর্কাইভ

২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু
টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০
ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড়
বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক জেতার সুযোগ