মঙ্গলবার ● ৮ জানুয়ারী ২০১৩
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » গত বছর ছিল এইচটিসির জন্য এক দুঃস্বপ্ন - পিটার
গত বছর ছিল এইচটিসির জন্য এক দুঃস্বপ্ন - পিটার
২০১২ সালে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভে ব্যর্থতার জন্য দুর্বল বিপণন কৌশল দায়ী বলে মনে করছে হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচটিসি। তাইওয়ানি কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী পিটার চোউ জানান, অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যে রকম আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে অর্থায়ন ও সম্পদ বিনিয়োগ করেছে তা করতে ব্যর্থ তার প্রতিষ্ঠান। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পিটার বলেন, ‘২০১২ সাল ছিল এইচটিসির জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। ২০১৩ এত খারাপ হবে না।’ ২০১২ সালে ওয়ান সিরিজের তিনটি স্মার্টফোন দিয়ে বাজার ধরার চেষ্টা চালিয়েছিল এইচটিসি। কিন্তু চাহিদা তৈরি করতে না পারায় সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়। কোম্পানিটির শেয়ারমূল্যও ২০১০-এর চেয়ে ৮০ শতাংশ কমে যায়। ২০১০ সালে অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক ওয়াইল্ডফায়ার স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার পর এইচটিসির শেয়ারমূল্য বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুণ।
কোয়াডকোর ওয়ান এক্স এবং গ্যালাক্সি এসথ্রির প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ান এস দিয়ে বাজার খুব একটা চাঙ্গা করতে পারেনি এইচটিসি। তবে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা এ সময় ভালোভাবেই ক্রেতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। স্যামসাং, অ্যাপল, হুয়াউই ও জেডটিইর মতো কোম্পানিগুলোর প্রতিটিরই গ্রাহকসংখ্য গত দুই বছরে বেড়ে গেছে এইচটিসির তুলনায় অনেক বেশি।
এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে অ্যাপলের সেলফোন পেটেন্ট ব্যবহারের চুক্তি করে এইচটিসি। কিছু দিন আগেই কোম্পানিটি তাদের নতুন স্মার্টফোন ড্রয়েড ডিএনএ বাজারে ছাড়ে। জাপানের বাজারে এ ফোন জে বাটারফ্লাই নামে বিক্রি হচ্ছে। আর ফোনটি জাপানের বাজারে বিক্রির দিক দিয়ে অ্যাপলের আইফোন ৫কে ছাড়িয়ে গেছে।
২০০৭ সালে আইফোন দিয়ে স্মার্টফোন যুগের শুরুর দিকে বাজারে বেশ শক্ত অবস্থান নিতে সক্ষম হয় এইচটিসি। বৈচিত্র্যময় নকশা এবং বিভিন্ন ধরনের অপেক্ষাকৃত সস্তা মডেলের হ্যান্ডসেট দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পায় এইচটিসি। এমনকি সেসময় আইফোনের সঙ্গে কার্যক্ষমতায় প্রায় একই মানের হ্যান্ডসেট বাজারে ছাড়তে সক্ষম হয় কোম্পানিটি। - এসবিবি