বৃহস্পতিবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » যত দ্রুত সম্ভব দেশে ইউটিউব খুলে দেয়া হবে: বিটিআরসি
যত দ্রুত সম্ভব দেশে ইউটিউব খুলে দেয়া হবে: বিটিআরসি
দেশে বর্তমানে বন্ধ থাকা বিশ্বের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব এখনো না খোলার পেছনে গুগলের অসহযোগিতাকেই দায়ী করলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান। বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস অবশ্য ইউটিউব খুলে দেয়ার প্রশ্নে সরকারের ইতিবাচক অবস্থানের কথাই তুলে ধরলেন। ‘যত দ্রুত সম্ভব দেশে ইউটিউব খুলে দেয়া হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করছি। তবে ইউটিউব ও গুগলের কাছ থেকে যে সহযোগিতা আশা করেছিলাম, তা পাইনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অন্যদেশের আহ্বানে যেভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আমাদের সঙ্গে তা করেনি। বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। সুনীল কান্তি বোস বলেন, ইউটিউব চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশে গুগল প্রতিনিধির সঙ্গেও কথা বলেছি। বিষয়টি নিয়ে আবারো গুগলের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব। সেখানে কি একটি বা দুইটি খারাপ ভিডিও আসল, সেদিকে নজর দিতে চাই না। প্রেস ব্রিফিংয়ে থ্রি-জি লাইসেন্স প্রসঙ্গেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, থ্রি-জি লাইসেন্স গাইডলাইন অনুমোদিত হয়ে আসলে শিগগিরই নিলামে যেতে পারব। আগামী রোববার এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সভা করবে। এরপর গাইডলাইন প্রকাশিত হলেই লাইসেন্স-সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। পাশাপাশি থ্রি-জি’র জন্য স্পেক্টার্মের দাম আরো কমবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি। অবৈধ ভিওআইপি প্রসঙ্গে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এর মাধ্যমে গুটিকয়েক লোকের হাতে সব টাকা চলে যাচ্ছে। একই কারণে মানসম্মত সেবাও পাচ্ছি না, কল ড্রপ বাড়ছে। বিটিআরসির সঙ্গে অবৈধ ভিওআইপির কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৪ শতাংশ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপি কল হচ্ছে, ভারতে ৫০ শতাংশ। ভিওআইপি হয় না এমন কোনো দেশ নেই। এরপরও আমরা ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এনেছি।