বুধবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » স্কাইপের আলাপ পাসওয়ার্ড ছাড়া ৩য় বাক্তির হ্যাকড করা সম্ভব নয়
স্কাইপের আলাপ পাসওয়ার্ড ছাড়া ৩য় বাক্তির হ্যাকড করা সম্ভব নয়
স্কাইপে হ্যাকড করা সহজ কোন কাজ নয়। এখানে দুই ব্যক্তির বাইরে আর কেউ স্কাইপে ঢুকতে পারবে না। যদি এই দুই ব্যক্তির মাঝখানে অন্য কোন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি তাদের কথোপথন শুনতে বা দেখতে চান তবে তাদের অনুমতি নিয়েই ঢুকতে হবে। কারণ দুইজনের পাসওয়ার্ড ছাড়া স্কাইপ কোনভাবেই হ্যাকড করা সম্ভব না।
মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের স্কাইপে আলাপ প্রকাশ একটি বড় ষড়যন্ত্র। জামায়াতের নিয়োগ করা এজেন্টরা স্কাইপে হ্যাকড করে ইকোনমিস্টের হাতে তুলে দিয়েছে বলে ঘটনাদৃষ্টে অনুমান করা হচ্ছে। ইকোনমিস্ট এই তথ্য প্রকাশের আগে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত আমার দেশ পত্রিকা স্কাইপ হ্যাকডের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, ইকোনমিস্ট তাদের সম্পাদকের বক্তব্যে বলেছে, আমরা সাধারণত আমাদের খবরের সূত্র প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু এই বিষয়ে আমরা সূত্র প্রকাশ করছি না কারণ সূত্র প্রকাশ হলে ওই সূত্রের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ থেকে এই ইঙ্গিত মেলে, ওই সূত্র বাংলাদেশের। এটা বড় ধরনের সাইবার ক্রাইম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দীন। তাঁর সঙ্গে কয়েক দফা টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিটিআরসির অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ে আইন আছে। কিন্তু এর প্রয়োগ খুব একটা নেই। তাছাড়া এ ধরনের অপরাধ ধরার মতো যন্ত্রপাতিও তাঁদের কাছে নেই। এমনকি সাইবার ক্রাইম ধরার মতো বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারও অভাব রয়েছে।
সাইবার ক্রাইম আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার তানজিবুল উল আলম জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৬ ও ৫৭ ধারায় ও দ-বিধি ১২৪, ১২৪ এ, ৫০৫এ, ১২০ বি ও ৫১১ ধারায় আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলা হতে পারে। এই মামলায় ৬ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে। একই সঙ্গে জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম আইন প্রণয়নের অন্যতম সদস্য এই আইনজীবী বলেন, সাইবার অপরাধ অন্য যে কোন অপরাধের সমতুল্য। কারও ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ করাও সাইবার ক্রাইম। তাঁর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত।
তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাইবার ক্রাইম ২০০৬ এ্যাক্টে শাস্তির বিধান রয়েছে। সাধারণ আদালতেও এমন অপরাধের জন্য মামলা হতে পারে। বাইরের দেশেও যদি দেশীয় কোন বিষয় নিয়ে সাইবার ক্রাইম হয় তাহলে সেখানেও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা যে সব দেশের সঙ্গে কনভেনশনে সই করেছি সেই সব দেশে মামলা হলে অবশ্যই তার বিচার হতে হবে। জুলিয়ান এসাঞ্জ আমেরিকার আইনের পরিপন্থী কাজ করেছেন। তাঁকে যে কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছেন, তাকে সাইবার ক্রাইম আইনে ৫ বছরের জেল দিয়েছে আমেরিকা কর্তৃপক্ষ। এসাঞ্জ এখন আশ্রয় নিয়েছেন একটি দেশের এ্যাম্বাসিতে। কারণ তিনিও জানেন রাষ্ট্রীয় কোন গোপন বার্তা প্রকাশ করা অন্যায়। স্কাইপের বিষয়টি অন্য রকম। যে দুই ব্যক্তি স্কাইপে কথা বলেছেন, তাঁরা ছাড়া এ তথ্য ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন, হয় তিনি বিষয়টি ফাঁস করতে পারেন, না হয় এই দুই ব্যক্তির মাঝখানে খুব ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে তাঁরা তাঁদের কথা শুনতে ও রেকর্ড করার সুযোগ দিয়েছেন। অথবা বিচারপতি স্কাইপেতে কথা বলে তাঁর এ্যাকাউন্টটি সাইন আউট করেননি। ফলে যে কোন দক্ষ ব্যক্তি তাঁদের কথোপথনের রেকর্ড চুরি করেছেন। এটার পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। পরিকল্পিত এই ঘটনার জন্য সারা দুনিয়ায় জামায়াত তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে রেখেছে। আমি মনে করি এতে বিচার প্রক্রিয়ায় কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বিচারের রায়ে কিছুটা বিলম্ব হলো।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হাবিবুল্লাহ এন করিম বলেন, স্কাইপ এমন একটি তথ্যপ্রযুক্তি এখানে যাঁরা কথা বলবেন তাঁদের বাইরে কেউ ঢুকতে চাইলে তাঁকে দুই ব্যক্তিরই অনুমতি নিতে হবে। তাঁরা অনুমতি দিলে তবেই তিনি তাঁদের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঢুকতে পারবেন। তা না হলে কিছুতেই এটা হ্যাকড করা সম্ভব হবে না। একইভাবে ই-মেইল হ্যাকড করতেও পাসওয়ার্ড লাগবে। স্কাইপের কথোপকথন এমন কোন ব্যক্তি মাঝখান থেকে পেয়ে গেছেন যা পরে এটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা এমন হতে পারে লন্ডনের ওই আইনজীবীই ফাঁস করতে পারেন। এই প্রযুক্তি অন্য দশটা প্রযুক্তির চেয়ে অনেকাংশে আলাদা। কেউ চাইলেই এটা ভেঙ্গে ঢুকে যাবে তা সম্ভব নয়।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে। তবে কম্পিউটার যন্ত্র এবং অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্রের সঙ্গে আমাদের জানাশোনা সম্প্রতি। ‘৮৭ সালে আমাদের কম্পিউটারে বাংলা আসে আর মুদ্রণ ও প্রকাশনার জগতে বিপ্লব আসে। ‘৯৬ সালে আসে অনলাইন ইন্টারনেট। ‘৯৭ সালে ভাঙ্গে মোবাইলের মনোপলি। ২০০৮ সালে আসে ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মসূচী। ফলে এতদিনে কম্পিউটারের জগতটা সাইবার জগত হয়ে গেছে। শুধু একটি যন্ত্রকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা প্রযুক্তি এখন সভ্যতার নিয়ামকে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিনে দিনে তাঁরা এই ধারণা করছেন যে, দুনিয়াতে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও মানুষের জীবনধারা ক্রমশ সাইবার অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ শক্তি, এমনকি পরমাণু শক্তি পর্যন্ত সাইবার অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে বা তারা সাইবার হামলার শিকার হতে পারে বলে মনে করা হয়। বিষয়টি অর্থগত বা শারীরিক শক্তির চেয়ে অনেক বেশি মেধা শক্তি বলে এই আশঙ্কা এতটাই প্রবল যে তারা মনে করে আফগানিস্তানের পাহাড়ে বসবাসকারী কোন জঙ্গী বা মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের কোন বালক পেন্টাগনে আঘাত হানতে পারে। এই অস্ত্রটি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে তারাও যে পিছিয়ে নেই তার প্রমাণ রয়েছে। ইরানের পরমাণু শক্তির কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার সঙ্গে পেন্টাগন জড়িত বলে মনে করা হয়। সাইবার ক্রাইমের বড় শিকার হচ্ছেন দেশের প্রখ্যাত মানুষেরা। বহুদিন ধরেই আমাদের দেশের খ্যাতিমান মানুষদের নানাভাবে চরিত্র হননের শিকার বানানো হচ্ছে। মিথ্য তথ্য দিয়ে মিথ্যা ভিডিও এবং পোস্টার-ব্যানার বানিয়ে ফেসবুক, ব্লগ ও ইন্টারনেটের নানা শাখা-প্রশাখায় ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। রাজনীতি নিয়ে ইন্টারনেটে লাগামহীনভাবে পক্ষে বিপক্ষে প্রচারণা চালানো তো অতি সাধারণ বিষয়। সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে নিয়ে এমন একটি ষড়যন্ত্রের ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এমন ঘটনা একটি দুটি নয়, হাজার হাজার ঘটছে। এমনকি কোন মানুষের বিরুদ্ধে প্রমাণহীনভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এতে নাম পরিচয় গোপন করে একজন মানুষ তার যা খুশি তাই লিখতে পারে এবং যাঁরা এসব তথ্য প্রকাশ করেন তাঁদের কোন লেখা প্রকাশ করার জন্য কোন জবাবদিহি করতে হয় না। কেবল লেখার কথাই বলি কেন, ইন্টারনেটে কুৎসিত কদাকার ভিডিও বা ছবি প্রকাশ করা বা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব প্রস্তুত করে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। মেইল থেকে শুরু করে ফেসবুক পর্যন্ত সর্বত্র এইসব অপরাধ ছড়াচ্ছে।
এমন অনেক ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন যে, এভাবে কোন ঘটনার বিষয়ে বা কোন ব্যক্তিকে ঘিরে ইন্টারনেটে যা খুশি তাই করা যায় কিনা। তারা আরও অনেক ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত, রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফি এবং মানহানিকর কাজের পাশাপাশি ইভটিজিং ও প্রতারণা ও ক্রিমিনাল অফেন্সের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
এই সরকারের আমলে ফেসবুক বন্ধ করার যে দুটি ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল। এতে এমনসব মন্তব্য করা হয়েছে যা প্রচলিত আইনে দ-নীয় অপরাধ। কিন্তু দ-টি দেবে কে এই প্রশ্নটি মীমাংসিত নয় বলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আদালতে সাইবার ক্রাইম নিয়ে করা কোন মামলার পরিণতি দেখার জন্য।
সাইবার প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এখন সাইবার ক্রাইমেরও প্রসার ঘটছে। বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন সাইবার টেকনোলজি ব্যবহারের পাশাপাশি সাইবার ক্রাইমের সঙ্গেও ব্যাপকভাবে যুক্ত হচ্ছে। এদের কেউ ক্রাইম করছে আবার কেউ সেই ক্রাইমের শিকারে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী এখন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণী, যুবারা। এদের সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী। এক সময়ে তারা কেবল মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। এখন তাদের কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে। তারা এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে। এটি এখন আর ঢাকা শহরে সীমিত নেই। এক সময়ে যদি ঢাকার বাইরে শ’ তিনেক ছাত্রছাত্রীর সমাবেশে জানতে চাওয়া হতো যে, তোমরা কয়জন কম্পিউটার ব্যবহার করো, তখন দুয়েকটি হাত উঠত। কিন্তু ২০১২ সালে আমি ময়মনসিংহের স্কুল ছাত্রছাত্রীদের কাছে যখন এই প্রশ্ন করলাম তখন তারা শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ কম্পিউটার ব্যবহার করছে বলে জানাল। নেত্রকোনাতেও দেখলাম যে, ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেবলই বাড়ছে। তারা জানাল, ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর চেয়ে বেশি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে। যদি আমরা আরেকটি ডিজিটাল যন্ত্র মোবাইল ফোনের হিসাব করি তবে আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি পরিমাণ মোবাইল কানেকশন এখন দেশে রয়েছে। এখন সংখ্যাটি ৯ কোটির ওপরে। যদিও ব্যবহারকারীর সংখ্যা হয়ত কানেকশনের চেয়ে কম। তবুও এত বেশি কানেকশন কম কথা নয়। অন্যদিকে তিন কোটিরও বেশি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে দেশে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এইসব ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ডিজিটাল মাত্রাও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এজন্যই বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমের অপরাধসহ অন্যান্য ভিন্ন ধরনের অপরাধ এখন সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয়। মোবাইল ও ইন্টারনেটে বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি এখন সর্বকালের সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে। সেলিব্রিটি বা পেশাদারীদের যৌন চিত্র, ভিডিও ছাড়াও রয়েছে অপেশাদার বা হয়রানিমূলক চিত্র ও ভিডিও। মোবাইলে বা সিডি-ডিভিডিতেও ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে নগ্নতা।
যদি ইন্টারনেটে সংঘটিত অপরাধের ধরন দেখে একটি তালিকা তৈরি করতে হয় তবে তার সীমা পরিসীমা থাকবেনা। শুধু সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কসমূহে যতসব অপরাধ হয় তার হিসাব করা কঠিন। যতই দিন যাচ্ছে অপরাধের মাত্রা তত বাড়ছে। ইন্টারনেটের ফেসবুকই শুধু নয়, সাইবার অপরাধ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এর নানা শাখা প্রশাখায়। ভুয়া বা স্পাম মেইল তো আছেই , ব্যক্তিগত চরিত্র হরণ, হ্যাকিং, অপপ্রচার, নগ্নতা ও রাজনৈতিক অপপ্রচার দিয়ে ভরে আছে সাইবার জগত। এই জগতে সাধারণ মানুষ খুব অসহায়। এতে মহিলা আর শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে সরকার বা রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উপাদান ছড়িয়ে দেয়া হয় ইন্টারনেটে। তথ্যপ্রযুক্তি এখন যে কেবল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়েছে তা নয়। এটা বিপদও ডেকে নিয়ে এসেছে।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা বলেন, সাইবার অপরাধ সমাজের সব ক্ষেত্রে এমনভাবে জেঁকে বসেছে যে এখান থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সারা দুনিয়া আইন করতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশেও দু’টি আদালত প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব উঠেছে।