বুধবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মানিলন্ডারিং রোধের নির্দেশ
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মানিলন্ডারিং রোধের নির্দেশ
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থ স্থানান্তর প্রতিরোধে কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিং, বিদেশে মুদ্রা পাঠানো, ব্যাংকের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ লেনদেনসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
গত সোমবার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ ও প্রদান, ক্যাশ পয়েন্ট নির্ধারণের সময় যথাযথ যাচাই-বাছাই করা, হালনাগাদ তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রদান করাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে এসব নীতি মেনে চলতে তফসিলি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (২০১২-এর সংশোধনীসহ)-এর ১৫ ধারায় মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান প্রতিরোধে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, আন্তঃদেশীয় ওয়্যার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ১ হাজার মার্কিন ডলার ও অভ্যন্তরীণ ওয়্যার ট্রান্সফারে ২৫ হাজার টাকা আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তথ্য রাখতে হবে। এর নিচের লেন-দেনগুলোর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও অর্থবহ তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ অয়্যার ট্রান্সফারের অর্থ বেনিফিশিয়ারিকে প্রদানের ক্ষেত্রে বেনিফিশিয়ারি সম্পর্কিত অর্থবহ তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ ওয়্যার ট্রান্সফারের ক্ষেতে ২৫ হাজার টাকা লেনদেনের সময় অবশ্যই সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য রাখতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ব্যাংক কিংবা প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত নির্দেশনার অতিরিক্ত পেমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে সরবরাহকৃত কেওয়াইসি (নো ইউর ক্লায়েন্ট) ব্যবহার করবে। মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণকারীর সম্পূর্ণ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পাদন ও অনুমোদনের পরেই কেবলমাত্র লেনদেন করতে পারবে। মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাশ পয়েন্ট বা এজেন্টদের জন্য নিয়মিত মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারী বা বেনিফিশিয়ারি এবং লেনদেনসংক্রান্ত তথ্যাদি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৫ ধারা অনুসারে পাঁচ বছর সংরক্ষণ কতে হবে। সংরক্ষিত তথ্যাদি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে মানিলন্ডারিং হতে পারে কোন বিষয়ে এমন সন্দেহ হলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে দ্রুত জানাতেও হবে।