বৃহস্পতিবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » রাজধানীতে পরিপূর্ণভাবে থ্রিজি সেবা দিতে ৭০০ বিটিএস প্রয়োজন
রাজধানীতে পরিপূর্ণভাবে থ্রিজি সেবা দিতে ৭০০ বিটিএস প্রয়োজন
থ্রিজি প্রযুক্তিসেবা দিতে রাজধানীতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সেলফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। জানা গেছে, রাজধানীতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি মাসে আরও ১০০ বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) যোগ হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৪০০ বিটিএসের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানীতে পরিপূর্ণভাবে থ্রিজি সেবা দিতে ৭০০ বিটিএস প্রয়োজন বলে টেলিটক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে জানুয়ারি নাগাদ নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে থ্রিজি সেবা চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে টেলিটক। একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামেও এ সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, রাজধানীতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে কাজ করছে টেলিটক। এর মাধ্যমে থ্রিজির গ্রাহকরা আরও ভালো সেবা পাবেন। আর ভবিষ্যতে এটি টেলিটকের বাণ্যিজিক সেবা চালুর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর চালু হয় টেলিটকের পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা। প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য সেবাটি চালুর অনুমতি পেয়েছে টেলিটক। তবে এ সময়ের মধ্যে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
জানা গেছে, রাজধানীতে টেলিটকের রিটেইল পয়েন্ট ও বিশেষ গ্রাহকসেবাকেন্দ্রে থ্রিজির সিম বিক্রি করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক সেবার অংশ হিসেবে প্রতিটি সংযোগ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ৪ লাখ গ্রাহককে এ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টেলিটক থেকে টেলিটক ভিডিও কলের চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি পালস ৫০ পয়সা করে। আর দুপুর ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পালসপ্রতি গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ২০ পয়সা। থ্রিজির ক্ষেত্রেও ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক।
থ্রিজি প্রযুক্তি চালু ও বিদ্যমান টুজি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের জন্য ২০১০ সালের ডিসেম্বরে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে টেলিটক। ২১ কোটি ১০ লাখ ডলারের এ প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় টুজি ও থ্রিজিসেবা সম্প্রসারণ করবে টেলিটক। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ৬৫ লাখ গ্রাহককে যুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
থ্রিজি সেবার লাইসেন্সিং নীতিমালা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত ২৮ মার্চ খসড়া নীতিমালা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি। খসড়া থ্রিজি নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স দিতে উন্মুক্ত নিলামের আয়োজন করা হবে। থ্রিজিসেবা দিতে ২১১০ থেকে ২১৬০ মেগাহার্টজের মধ্যে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। নিলামে অংশ না নিলেও লাইসেন্স পাবে টেলিটক। সেক্ষেত্রে নিলাম শেষে নির্ধারিত ফি দিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।