রবিবার ● ১৪ আগস্ট ২০১১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বাংলালিংক ও নন্দনসহ চার প্রতিষ্ঠানকে শব্দদূষণের অপরাধে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর
বাংলালিংক ও নন্দনসহ চার প্রতিষ্ঠানকে শব্দদূষণের অপরাধে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর
নন্দন ও বাংলালিংকসহ চার প্রতিষ্ঠানকে শব্দদূষণের অপরাধে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।জেনারেটরের মাধ্যমে শব্দদূষণের অপরাধে গুলশান এভিনিউর হোসনা সেন্টার ভবনের হোসনা সেন্টারকে তিন লাখ, বাংলালিংককে দুই লাখ, নন্দন মেগাশপকে এক লাখ টাকা এবং আইপিডিসি অব বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে আজ ১৪ অগাস্টের মধ্যে শব্দদূষণ বন্ধে সব ধরনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নইলে তাদের জেনারেটর জব্দ এবং মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুলশান এলাকার অধিবাসীদের অভিযোগের পর অধিদপ্তরের একটি দল প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহৃত জেনারেটরে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দদূষণের প্রমাণ পায়।
জেনারেটরের বিকট শব্দের কারণে ওই এলাকায় বসবাসরত একজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে গুলশান ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হয়েছে। এছাড়া শব্দ দূষণের ফলে ওই এলাকার লোকজন অনিদ্রাসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন বলে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ আসে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সোমবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে এ জরিমানা করেন।
চারটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেনারেটর স্থাপন করেছিলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরীক্ষায় হোসনা টাওয়ারের জেনারেটরের শব্দের মাত্রা পাওয়া যায় ১০১ ডেসিবেল, বাংলালিংকের দুটি জেনারেটরের শব্দের মাত্রা যথাক্রমে ৮৪ ও ৯০ ডেসিবেল, আইপিডিসির জেনারেটরের শব্দের মাত্রা ৮১ ডেসিবেল এবং নন্দন মেগাশপের জেনারেটরের শব্দের মাত্রা পাওয়া যায় ৮৯ ডেসিবেল।
গুলশানে শব্দদূষণের সহনীয় মাত্রা ৬০ ডেসিবেল।