সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
বৃহস্পতিবার ● ১ নভেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » সামাজিক যোগাযোগ সাইটের জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » সামাজিক যোগাযোগ সাইটের জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন
৮৭৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১ নভেম্বর ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সামাজিক যোগাযোগ সাইটের জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন

social-media॥ আরাফাত মুন্না ॥ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে অপপ্রচার, কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট অশ্লীল চিত্র, ব্যাঙ্গচিত্র ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার বন্ধে কঠোর আইন করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত আইনজ্ঞরা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন, ফেসবুক, টুইটার, গুগোল প্লাস ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে সম্প্রতি উস্কানিমূলক বক্তব্য, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করার ফলে দেশে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। ফেসবুকে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের কারণেই রামু, উখিয়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ঘটেছে সহিংস ঘটনা। এ নিয়ে হাইকোর্টও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে, আইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু আইন করে কোন লাভ হবে না, ওই সব অপরাধীকে শনাক্ত করতে দেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও আধুনিকায়ন করতে হবে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ করা হয়। তবে এ আইনটিতে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে অনেকটাই মিল নেই। এ কারণে ওই আইন বর্তমানে কোন কাজে আসছে না। যার ফলে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগে কাউকে আটক করা হলেও তারা সহসাই পার পেয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা গেছে, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান ও সাবেক একাধিক এমপি ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব ওয়েবসাইটে দেশের খ্যাতিনামা চলচ্চিত্র শিল্পী, অভিনয় শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা ধরনের কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট অশালীনচিত্র প্রচার করা হচ্ছে। এসব অশালীনচিত্র প্রচার করার কারণে অনেকের সংসার ভাঙ্গার অভিযোগও পাওয়া গেছে। একাধিক কলেজ ছাত্রীর আত্মহননের ঘটনাও ঘটেছে।

দেখা গেছে, ফেসবুকে মুসলমানদের ধর্মগ্রস্ত কোরান শরীফকে অপমান করে তৈরি করা একটি ছবি প্রচার করার ফলেই রামু, উখিয়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ঘটেছে সহিংস ঘটনা। এবং অতিসম্প্রতি প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হূমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে ফেসবুকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে ডা. এহসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাকে হাইকোর্টের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে ফেসবুকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ রুহুল আমীন খন্দকার। এ ঘটনায় হাইকোর্ট তাকে তলব করলে তিনি হাজির হননি। পরে এ মামলায় হাইকোর্ট তাকে ছয় মাসের কারাদ- দিয়েছিল।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রতারকচক্র সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোকে পুঁজি করে তাদের প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণীর প্রতারকচক্র বড় ব্যবসায়ী ও সম্মানী ব্যক্তিদের অশালীনচিত্র কৃত্রিমভাবে তৈরি করে তা এসব ওয়েবসাইটে প্রচার করার হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর টাকা না দিলে এসব ছবি ওই সব ওয়েবসাইটগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে।
এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে হাইকোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রয়াত কথাশিল্পী হূমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে ফেসবুকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে আটক ডা. এহসানুজ্জামানকে আদালতের নির্দেশে হাজির করা হয়। এ সংক্রান্ত শুনানিতে ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে যা খুশি তা লেখা হচ্ছে। নানা ধরণের বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে। আমি নিজেও এর শিকার। আদালত বলেন, একজন মহিলা কাকে বিয়ে করল, কার সঙ্গে প্রেম করল সেটা তো ফেসবুকে লেখার মতো বিষয় না। আদালত আরও বলেন, এটা যাতে না হতে পারে সেজন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। কারও বিরুদ্ধে ফেসবুকের অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য বড় ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার।

এ বিষয়ে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের সাহায্যে অবাধে বেআইনীভাবে বিকৃত, অশ্লীল, মানহানিকর, মিথ্যাচার পূর্ণকর্মকা- চালানো হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে জাতীয় স্বার্থেই যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা দরকার। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের দেশে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অপরাধের ধরন ও কৌশল নিত্যনতুন হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আইনটি অপ্রতুল। অপরাধের ধরনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইনকেও সময়োপযোগী করা দরকার।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বর্তমানে নৈতিকতা, সামাজিকতা, রাজনীতি এমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাইবার ক্রাইমের প্রভাব ভয়ঙ্করভাবে পড়ছে। পারিবারিক জীবন ভেঙ্গে যাচ্ছে। অপূরণীয় সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে, যা প্রতিরোধে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত না নেয়া হলে অবক্ষয়ের স্রোত এতবড় আকার ধারণ করবে, যা এক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সাইবার ক্রাইম আমাদের অর্জিত সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এই আইনজ্ঞ।

এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ জনকণ্ঠকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যেমন সুফল আছে, তেমন কুফলও আছে। বাংলাদেশে দ্রুত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এর অপব্যবহারও বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ অপব্যবহার প্রতিরোধে আরও আগেই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে, যা আমাদের সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

মনজিল মোরশেদ বলেন, এই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রতিহিংসাবসত যে কোন ব্যাক্তিকে অপমান, মানহানি ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত সরকারকে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মনজিল মোরশেদ।

এ বিষয়ে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ জনকণ্ঠকে বলেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব বিস্তার করছে। এর সুফলের সঙ্গে সঙ্গে এর মাধ্যমে অপরাধও বাড়ছে। এ বিভিন্ন সামাজিক ওয়েবসাইটে নানা ধরনের অপপ্রচারের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেক তরুণীকে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লা এন করিম জনকণ্ঠকে বলেন, শুধু আইন করেই সব সমাধান হবে না। ওই সব অপরাধিকে শনাক্ত করতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও আধুনিক করতে হবে। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি যে কোন নামে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যে কোন কিছু আপলোড করুক না কেন। আইটি ফরেন্সিকের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব। আমাদের দেশে বেসরকারী পর্যায়ে আইটি ফরেন্সিকের ব্যবস্থা আছে তবে সরকারীভাবে শুধুমাত্র বিসিসি কিছু কিছু শুরু করেছে। তবে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অনেক কম।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইটি ফরেন্সিকের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমাদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও আধুনিকায়ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইটি ফরেন্সিকের বিষয়ে প্রশিক্ষিত করা হলে সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে জড়িতদের সজেই খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের ভেতরে বিসিসি ও মোবাইল কোম্পানিগুলো আইটি ফরেন্সিক কাজে সহযোগিতা করতে পারলেও দেশের বাইরের অপরাধীকে শনাক্ত করতে হলে সরকারী পর্যায়ে আরও আধুনিকপ্রযুক্তির ব্যবহার করা দরকার।



২০৩০ সাল নাগাদ ৫ হাজার সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান করবে উল্কাসেমি
দেশের বাজারে লেক্সারের জেন৫ এসএসডি
বাজারে এলো স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেটের রিয়েলমি জিটি ৭ প্রো স্মার্টফোন
সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমি রেডমি ১৩সি
নাসার গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’
দেশের বাজারে ভেনশন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ডিসপ্লে যুক্ত পাওয়ার ব্যাংক ও ইয়ার বাডস
টিকটক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ এর ভোটিং শুরু
টেক্সটেক আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪ এ ট্যালি প্রাইম ৫.০
ভিসাকার্ড পেমেন্টে ফুডপ্যান্ডায় ছাড়
বাংলালিংকের মাইবিএল অ্যাপে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক জেতার সুযোগ