রবিবার ● ২১ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ভবিষ্যতে সাইবার জগৎই যুদ্ধক্ষেত্র হবে
ভবিষ্যতে সাইবার জগৎই যুদ্ধক্ষেত্র হবে
ভবিষ্যতে সাইবার জগৎই যুদ্ধক্ষেত্র হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) লিওন পানেত্তা। গত শুক্রবার তিনি বলেন, এক দেশ আরেক দেশের ক্ষতি করার জন্য তখন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কম্পিউটার-ব্যবস্থায় হামলা চালাবে। খবর রয়টার্সের।
তার আশঙ্কা, হামলাকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুক্ষেত্রসহ সরকারি অন্যান্য স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য নিজেদের সমৃদ্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক হামলার মুখোমুখি আমরা। এখানে মনোযোগ দিতেই হবে। সম্ভবত এটাই হবে ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্র।’
এর আগে ১২ অক্টোবর তিনি সাইবার হামলা এবং এ জগতের যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য দেন। তখন তিনি বলেন, ‘নিজেদের সুরক্ষিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে আগেই হামলা চালাবে। কোনো দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালানো হতে পারে- এ রকম কিছু টের পেলে আমরা ওই দেশে হামলা চালাব।’
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান কয়েক সপ্তাহ ধরে সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। দেশটির ধারণা, ইরান এ হামলার সঙ্গে জড়িত। ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ হিসেবে এ হামলা চালানো হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। তবে এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোয় হামলা চালানোর দায় শিকার করেছে সাইবার ফাইটারস অব ইজ আদদিন আল কাশাম নামের এক দল। ইউটিউবে ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র পোস্ট করার প্রতিবাদ হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছেন বলে জানান।
পানেত্তা বলেন, ‘প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্র হাজার হাজার সাইবার হামলা সামলাচ্ছে। আমাদের এ আলোচনার মধ্যেও ওয়াশিংটনের কোনো না কোনো জায়গায় সাইবার হামলা চলছে।’
কোন দেশ থেকে হামলা চলছে তা তিনি জানাননি। তবে বক্তব্যের সময় হামলাকারীদের ‘তারা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘তারা আমাদের গ্রিড, অর্থনৈতিক ও সরকারি ব্যবস্থায় হামলা চালানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে তারা আমাদের দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিতে চায়।’
লিওন পানেত্তার এ আশঙ্কাকে অমূলক মনে করছেন না কেউ-ই। বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক উইলিয়াম রবার্টসন বলেন, সরকার বিষয়টি নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন। কিছু দিন ধরেই এ ধরনের হামলা চলছে। প্রতিদিন এ হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা বাড়ছে।
গত সপ্তাহে পানেত্তা জানান, সাইবার হামলা কোন জায়গা থেকে চালানো হচ্ছে, তা চিহ্নিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘কোন দেশ আমাদের দিকে সাইবার হামলা চালাচ্ছে, তা খুঁজে বের করা এবং তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষমতা রাখি আমরা।’
তবে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার কাজটি এতটা সহজ নয় বলে মনে করেন রবার্টসন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইন্টারনেটের শক্তি অনেক। কোন জায়গা থেকে হামলা চালানো হয়েছে, তা বের করার সহজ কোনো উপায় নেই এবং অদূর ভবিষ্যতে তা আবিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনাও কম।