শুক্রবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম বানাচ্ছে ক্যাসপারস্কি
নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম বানাচ্ছে ক্যাসপারস্কি
অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)বানাচ্ছে ক্যাসপারস্কি ল্যাব- এ ধরনের খবর অনেক দিন ধরেই চলে আসছিল। সম্প্রতি ইউজিন ক্যাসপারস্কি নিজেই একটি ব্লগপোস্টে তা স্বীকার করলেন। তিনি আরও জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যের নিরাপত্তা দিতে পারবে নতুন এ অপারেটিং সিস্টেম। খবর টেক টুর।
সাইবার জগতের কার্যক্রম ক্রমেই বাড়ছে। একই সঙ্গে এ জগতে হ্যাকারদের আনাগোনাও বাড়ছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ এখন কম্পিউটার ও ইন্টারনেটনির্ভর। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন কাগজে-কলমে নয়, কম্পিউটারে থাকে। এর ফলে তথ্য চুরির আশঙ্কা বাড়ছে। সাইবার জগতের এ হ্যাকিং প্রবণতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম বানানোর কাজ করছে ক্যাসপারস্কি।
তথ্য চুরি ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে। তার পরও ঠেকানো যাচ্ছে না তথ্য চুরি। তথ্য চুরি ঠেকানোই ক্যাসপারস্কি ল্যাবের নতুন অপারেটিং সিস্টেমের মূল কাজ হবে বলে জানিয়েছেন ল্যাবটির প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন ক্যাসপারস্কি। বর্তমানে অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরির কাজ চলছে এবং দ্রুত এটি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল সিস্টেমসের (আইসিএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ নিরাপদ ওএস ব্যবহার করা হবে। ক্যাসপারস্কির মতে, একটি আদর্শ আইসিএস সফটওয়্যারকে অবশ্যই সব ধরনের নিরাপত্তা প্রযুক্তিসংবলিত হতে হবে। কারণ সাইবার আক্রমণের ধরন ও উদ্দেশ্য বদলেছে।
ব্লগপোস্টে অনেকেই জানতে চেয়েছেন মাইক্রোসফট, অ্যাপল এবং ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমগুলো এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কোনো অপারেটিং সিস্টেম বানাতে পারেনি। তাহলে ক্যাসপারস্কি এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম বানানোর নিশ্চয়তা দিচ্ছে কীভাবে?
জবাবে তিনি বলেন, খুব সহজ। কয়েকটি নির্দিষ্ট কাজের জন্যই এ অপারেটিং সিস্টেমের নকশা করা হয়েছে। শুধু ভিডিও এডিটিং কিংবা সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ওএসটি বানানো হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ওএসটি এমনভাবে নকশা করা হচ্ছে, যাতে এতে কোনো ত্রুটি না থাকে। তৃতীয় কোনো পক্ষ অপারেটিং সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না। এ ছাড়া অবৈধ কোনো অ্যাপ্লিকেশনও এতে ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়গুলো নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
ব্লগপোস্টে তিনি লেখেন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাপক গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। এসব কোম্পানির ডাটা সেন্টারে কোনো ভাইরাস ঢুকে পড়লে আইটির লোকেরা সাধারণত আক্রান্ত কম্পিউটারটিকে অন্যান্য কম্পিউটার থেকে আলাদা করে ফেলেন এবং পড়ে ভাইরাসটি অপসারণের বিষয়ে কাজ করেন। নতুন এ অপারেটিং সিস্টেম থাকলে এ ধরনের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না বলে তিনি জানান।