বুধবার ● ১০ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান ড্রাগন
প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান ড্রাগন
বিশ্বের প্রথম বেসরকারিভাবে নির্মিত ক্যাপসুল ড্রাগন ফ্যালকন রকেটে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (আইএসএস) দিকে কার্গো নিয়ে ছুটে চলেছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্পেস এক্স তার ড্রাগন নামক ক্যাপসুলটি উৎক্ষেপণ করে। ক্যাপসুলটি আজ বুধবার মহাকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। রবোটিক ড্রাগন ক্যাপসুলটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত ৬ নভোচারীর কাছে ৪০০ কেজি খাদ্য, জামা-কাপড়, গবেষণা এবং স্পেয়ার পার্টস পৌঁছে দেবে। স্পেস এক্স ড্রাগনের জন্য টিকে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সফল হলে এই যানকে তারা নভোচারী পরিবহনের জন্যও ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছরের মধ্যে নভোচারী পরিবহনকারী ট্যাক্সি নির্মাণ করতে পারবে বলে আশা করছে। নাসার হয়ে প্রতিষ্ঠানটি সর্বমোট ১২টি এ ধরনের অভিযান চালানোর অনুমতি পেয়েছে। মার্কিন স্পেস এজেন্সি বর্তমানে নিু কক্ষপথ থেকে নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট সুবিধা প্রদান করতে পারবেÑ এমন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করছিল। প্রয়োজনীয় দ্রব্য দিয়ে আইএসএসকে পরিপূর্ণ রাখার জন্য স্পেস এক্স-এর সঙ্গে নাসা ১.৬ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে। গত মে মাসে পরীক্ষামূলক মিশন সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর একে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা। এছাড়া দ্বিতীয় আরেকটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত মালামাল পরিবহনের ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে বলে ধারণা করছে নাসা। অরবিটাল সায়েন্সেস কর্পোরেশন (ওএসসি) তার সিগনাস নামক রবোটিক বাহন এবং অ্যান্টারেস রকেট পরীক্ষা করবে। পরীক্ষা সফল হলে নাসা ওসিএসের সঙ্গেও ১.৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা মহাকাশে নভোচারী প্রেরণের দায়িত্বটি সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে পৌঁছে দিতে আগ্রহী। এ সম্পর্কে নাসার ব্যবস্থাপক চার্লস বোল্ডেন বলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের জন্য আমাদের যে পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, তা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ছেড়ে দিতে চাই। যাতে নাসা আমাদের সৌরজগতের আরও গভীরে অনুসন্ধান করতে পারে, তৈরি হতে পারে গ্রহাণু বা মঙ্গলে মিশন পাঠানোর জন্য।