শুক্রবার ● ৫ অক্টোবর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » জৈব ইন্টারনেট আবিষ্কারের দাবি বিজ্ঞানীদের
জৈব ইন্টারনেট আবিষ্কারের দাবি বিজ্ঞানীদের
এমওয়ানথ্রি নামে এক ভাইরাসের বিশ্লেষণ করেছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই জীববিজ্ঞানী। তাদের দাবি, ভাইরাসটি ক্যাপসুল আকারে ব্যবহারের মাধ্যমে এক কোষ থেকে আরেক কোষে বার্তা পাঠানো যাবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেমন এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে তথ্য পাঠানো যায়, ভাইরাসটিও তেমনি শরীরের কোষগুলোর ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করবে। তারা এ পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘বাই-ফাই’।
বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষক মনিকা অরটিজ ও ড্রু অ্যান্ডি ভাইরাসটি বিশ্লেষণ করেন। এ বিষয়ে এএফপিকে তারা জানান, এ আবিষ্কারের মাধ্যমে এক কোষ থেকে আরেক কোষে জেনেটিক তথ্য পাঠানো যাবে। কোষের কার্যপরিধি এ ভাইরাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেও তারা জানান। জার্নাল অব বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ-বিষয়ক বিবৃতিতে বলা হয়, জৈব ইন্টারনেট ব্যবহার করে শরীরের ভেতর আরও জটিল কার্যাবলি সম্পন্ন করা সম্ভব। এমনকি ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে নতুন করে কোষ গঠন ও অঙ্গ তৈরিও সম্ভব।
মনিকা অরটিজ তার গবেষণায় দূরবর্তী দুই কোষের মধ্যেও এ ভাইরাস দিয়ে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম হন। মাঝারি মানের জিলোটিন দিয়ে প্রায় ৭ সেন্টিমিটার দূরবর্তী দুটি কোষের মধ্যে তথ্য পাঠাতে সক্ষম হন তিনি। অরটিজ বলেন, টেলিযোগাযোগের ভাষায় বলতে গেলে এটি খুবই দূরবর্তী যোগাযোগব্যবস্থা।
জেনেটিক তথ্য পাঠানোর বাহন এমওয়ানথ্রি। যে ব্যক্তির শরীরের মধ্যে এটি থাকে, সেটি ওই শরীরের মধ্যে বারবার উত্পন্ন হয় এবং এক ডিএনএ থেকে তথ্য আরেক ডিএনএতে পাঠাতে পারে। ভাইরাসটিকে ক্যাপসুল আকারে শরীরে প্রবেশ করানো সম্ভব। অরটিজের ভাষায়, এটি অনেকটা ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের মতো। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যা বলা হয় তাই পৌঁছে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সহজ ভাষায় বলতে গেলে বার্তাবাহক ও বার্তা গ্রাহকের স্থানকে আমরা আলাদা করতে পেরেছি। এখন আমরা শরীরে যেকোনো স্থানে যেকোনো ডিএনএতে মেসেজ পাঠাতে পারব।’
এন্ডি বলেন, ‘যদি কারও শরীরে চিনি নিয়ে সমস্যা থাকে তাহলে আমরা ভাইরাসটির মাধ্যমে কোষে তথ্য পাঠাতে পারব। ‘আরও চিনি লাগবে’, ‘চিনি লাগবে না’, ‘কম চিনি লাগবে’ তিন ধরনের তথ্যই পাঠানো যাবে।’ -এসবিবি