শনিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » নতুন আঙ্গিকে মাইস্পেস
নতুন আঙ্গিকে মাইস্পেস
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ও মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় হারিয়ে যাওয়া একটি সাইটের নাম মাইস্পেস। একসময় সামাজিক যোগাযোগের সাইটটি তরুণদের মধ্যে বিশেষ করে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। হারানো দিন ফিরিয়ে আনতে ওয়েবসাইটটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। খবর এএফপির।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন আঙ্গিকে মাইস্পেসকে দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা। ওয়েবসাইটটির হোমপেজের ওপরে থাকা মেসেজে এমনটাই বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য অনুযায়ী, ফেসবুক ও টুইটারের মতো এখানে নজরকাড়া বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মেসেজের সঙ্গে থাকা ভিডিও লিংক দিয়ে চাইলেই নতুন মাইস্পেস দেখা যাবে।
মেসেজ থেকে পাওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, ওয়েবসাইটটিতে নতুনত্ব আনতে মাইস্পেস প্রচুর পরিশ্রম করছে। ব্যবহারকারীরা যাতে সহজে নিজের ভাব বা মতামত প্রকাশ করতে পারে, সে বিষয়টিতে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মেসেজের মাধ্যমে আলোকচিত্রী, সঙ্গীতশিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, নকশাকার এবং নিবেদিতপ্রাণ ভক্ত- সবাইকে নতুন মাইস্পেস ব্যবহারের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট জগতে মাইস্পেসকে পথিকৃত্ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরে ফেসবুকের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে ওয়েবসাইটটি চোখের আড়ালে যেতে শুরু করে। এ বছরের শুরুতে ওয়েবসাইটটি একটি মিউজিক প্লেয়ার চালু করে। এরপর সাইটটির ব্যবহারকারী কিছুটা বেড়েছে বলে
প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
স্পটিফাই, প্যান্ডোরা, আরডিওর মতো ইন্টারনেট মিউজিক সেবা মাইস্পেস প্রদান করে। গান শোনার জন্য আজকাল ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। মাইস্পেসে ৪ কোটি ২০ লাখ গান রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ হতে জানা গেছে। জুনে নিউজ করপোরেশন মাইস্পেসকে স্পেসিফিক মিডিয়ার কাছে সাড়ে ৩ কোটি ডলারে বেচে দেয়। অথচ নিউজ করপোরেশন মাইস্পেসকে ২০০৫ সালে ৫৮ কোটি ডলারে কিনেছিল।
গত বছরের শেষ দিকে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিডিয়া নিউজ করপোরেশনের মালিক রুপার্ট মারডক বলেন, মাইস্পেস কেনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। -এসবিবি