রবিবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা এখন বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা এখন বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
বিশ্ব অর্থনীতির নাজুক অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের তথ্যের নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা এখন বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এ খাতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ৬০০ কোটি এবং ২০১৬ নাগাদ এটি ৮৬০ কোটি ডলারে পৌঁছবে।
অর্থনৈতিক মন্দায় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যয় সাশ্রয়ে অনলাইনে কাজ করছে। এ অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত সাইবার হামলা থেকে তথ্য সুরক্ষিত করতে নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বাড়াবে বলে গার্টনার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক গার্টনার সিআইও (প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা) ২০১২ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর এ খাতে ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।
তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, সেবা, নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা এবং উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের প্রযুক্তি পণ্যের নিরাপত্তা।
গার্টনার প্রতিবেদনে জানায়, আইটি আউটসোর্সিং, নিরাপদ ওয়েব গেটওয়ে এবং সিকিউরিটি ইনফরমেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট (এসআইইএম) ইত্যাদি বিষয়গুলোয় এখন বিনিয়োগ বাড়ছে। এ ছাড়া ক্লাউডভিত্তিক সেবার নিরাপত্তার বিষয়টিও অদূর ভবিষ্যতে বিনিয়োগে প্রাধান্য পাবে বলে জানানো হয়। সর্বোপরি এসব তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা শাখার ব্যবসা সামনে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছে গার্টনার।
এ বিষয়ে গার্টনারের গবেষণা পরিচালক লরেন্স পিনগ্রি বলেন, অর্থনৈতিক মন্দা আরও বাড়লেও এসব খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হবে।
গত বছরের সঙ্গে চলতি বছরে গার্টনারের সিআইও সার্ভে জরিপ তুলনা করে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ব্যয় বাড়িয়েছেন।
জরিপে অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের ৪৫ শতাংশই গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এ খাতে বাজেট বাড়িয়েছেন। ৫০ শতাংশ এ খাতে বাজেট একই রেখেছেন। কেবল ৫ শতাংশ বাজেট আগের বছরের তুলনায় কমিয়েছেন।
গার্টনারের আরেক গবেষণা পরিচালক রাজেরো কনতু বলেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা দীর্ঘায়িত হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিরাপত্তার বিষয়টিতে প্রভাব ফেলছে। ব্যবসায়ীরা এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিনিয়োগ এখনো কম।
গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তায় হুমকি বাড়ায় এটি প্রতিরোধে বিনিয়োগ বাড়ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো এ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা সফটওয়্যারের সাহায্য নিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাচ্ছে।
পিনগ্রি বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছিলাম বিশ্বের বিভিন্ন বাজার সাইবার হামলার সম্মুখীন হবে। এ হামলা ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তাসেবা ও এ ধরনের বিভিন্ন সফটওয়্যারে বিনিয়োগ করবে। আমরা মনে করি, ২০১৩ পর্যন্ত এ খাতে ৯-১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’