শনিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের নতুন মূল্য আজ থেকে কার্যকর
ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের নতুন মূল্য আজ থেকে কার্যকর
ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের নতুন মূল্য আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে। গত ২৯ আগস্ট ব্যান্ডউইডথের দাম আরেক দফা কমানোর নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ দফায় ১ মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম ২ হাজার টাকা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ১ আগস্ট থেকে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর নির্দেশ দেয়া হলেও তা পরবর্তী সময়ে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে ১ আগস্টের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) লাইসেন্স পাওয়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আগেই দাম কমিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে গত তিন বছরে চতুর্থ দফায় ব্যান্ডউইডথের মূল্য কমানো হলো। প্রথম দফায় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের মূল্য ২৭ হাজার থেকে কমিয়ে ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সর্বশেষ দফায় এটি আরও কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। ভ্যাট ও অন্যান্য খরচসহ এর মূল্য দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের দাম ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এর বাইরে বর্তমানে কল সেন্টারের জন্য প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের মূল্য রয়েছে ৬ হাজার টাকা।
এদিকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম দফায় দফায় কমানো হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ব্যবহারকারীরা। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ভ্যাটের কারণে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর সাধারণ ব্যবহারকারীদের খরচ প্রায় একই থাকছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সেবাদানকারী অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত হারে প্যাকেজের
দাম না কমানোর অভিযোগও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আখতারুজ্জামান মঞ্জু বলেন, ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর এ নির্দেশনা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ইতিবাচক। তবে একই সঙ্গে ইন্টারনেট সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট যেসব ব্যয় রয়েছে সেগুলো কমানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তিনি জানান, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) ফি কমিয়ে আনা এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে আরও কম মূল্যে গ্রাহক পর্যায়ে এ সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
প্রতিবার ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর পরই ব্যবহারকারীরা তুলনামূলক কম দামে সেবা পাওয়ার আশা করলেও উল্লেখযোগ্যহারে এ দাম কমছে না। এ প্রসঙ্গে টেকভিউ অ্যাসোসিয়েটসের সফটওয়্যার প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, মূলত প্রতিষ্ঠানগুলো গতি বাড়ানোর কথা বলে দাম অপরিবর্তিত রাখে। তবে পরবর্তী সময়ে প্রত্যাশিত গতি পাওয়া যায় না।
বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা রয়েছে ২৮ গিগাবাইট পার সেকেন্ড (জিবিপিএস)। এর মধ্যে ভয়েসের ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে ১১ জিবিপিএস। দেশে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের ক্ষমতা রয়েছে ৮২ জিবিপিএস। এটি ১৬০ জিবিপিএসে উন্নীত করার বিষয়ে কাজ চলছে।