সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, মার্চ ১৯, ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
মঙ্গলবার ● ১৮ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » এখনো সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের আইসিটি কোম্পানি সিএনএস এর কব্জায় বিআরটিএ
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » এখনো সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের আইসিটি কোম্পানি সিএনএস এর কব্জায় বিআরটিএ
৫৭ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৮ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এখনো সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের আইসিটি কোম্পানি সিএনএস এর কব্জায় বিআরটিএ

---বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দীর্ঘদিন ধরে এককভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজেদের দরপত্র ব্যবস্থাকে সমর্পণ করে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি হলো সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পরিবারের মালিকানাধীন কোম্পানী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড (সিএনএস)। এমনকি জুলাই বিপ্লবের পর এখনোও প্রতিষ্ঠানটির কাছে জিম্মি বিআরটিএ’র গ্রাহকরা। সিএনএস বিআরটিএ’র সঙ্গে একচেটিয়া সম্পর্ক তৈরি করে দরপত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, যা বাজারের প্রতিযোগিতাকে ধ্বংস করছে।

কাগজপত্র পর্যালোচন করে দেখা যায়, সিএনএস নিজেদের সুবিধার জন্য দরপত্রের শর্তাবলী এমনভাবে সাজিয়ে নিয়েছে, যাতে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোভাবেই কাজ পেতে না পারে। এসব শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে- বিশেষ অভিজ্ঞতার দাবিঃ দরপত্রে এমন অভিজ্ঞতার শর্ত আরোপ করা হয় যা শুধুমাত্র সিএনএস পূরণ করতে পারে। নির্দিষ্ট সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বঃ দরপত্রে কিছু নির্দিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কাজ করার শর্ত দেওয়া হয়, যা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান পূরণ করতে পারে না। অতিরিক্ত আর্থিক লেনদেনের বাধ্যবাধকতাঃ সিএনএস নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে আর্থিক লেনদেনের এমন বিধি আরোপ করেছে, যা ছোট ও নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে, যানবাহনের মালিক, চালক, এবং সাধারণ জনগণকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়, যা পুরো সিস্টেমটিকে একচেটিয়া ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর নির্বাহী কমিটির সাবেক একজন পরিচালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই দুর্নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেছেন বিআরটিএর প্রকল্প পরিচালনার জন্য দেশের ১৬০০-এর বেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা রাখে। কিন্তু দরপত্রের কৌশলগত পরিবর্তনের ফলে শুধুমাত্র সিএনএস সুবিধা পাচ্ছে, যা অন্য সব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নষ্ট করছে। বেসিসের সাবেক এই নেতা উল্লেখ করেন, প্রশাসনিক যোগসাজশ ও দুর্নীতির কারণে বিআরটিএর সব দরপত্র সিএনএসের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এর ফলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের প্রযুক্তিগত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর্থিক প্রভাব ও লেনদেনে বিআরটিএর অনিয়মের কারণে সিএনএস শুধু প্রযুক্তিগত সুবিধাই পাচ্ছে না, বরং বিশাল পরিমাণ আর্থিক সুবিধাও হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরকারি অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে সিএনএস নির্দিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিচ্ছে। সাধারণত, সরকারি টাকা আদায়ে ব্যাংক কোনো কমিশন নেয় না। তবে সিএনএস কমিশন বাণিজ্য চালু করেছে, যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিআরটিএ’র মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা কর ও ফি আদায় করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮০০ কোটি টাকা অগ্রিম আয়কর হিসেবে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অর্থের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। সিএনএসের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকার কারণে, সরকারি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো একটি প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি প্রকল্পের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ পায়, তবে সেটি স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহজনক। তিনি বলেন, এটি বাজার প্রতিযোগিতাকে ধ্বংস করে এবং সরকারি সম্পদের অপচয় ঘটায়। দরপত্র ব্যবস্থায় এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া দুর্নীতিরই অংশ। এর মাধ্যমে জনগণের অর্থ অপব্যবহার করা হচ্ছে।

সিএনএসের এই একচেটিয়া আধিপত্যের প্রধান কারণ হলো সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, তারা সরকারি নীতিনির্ধারকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আছে। ফলে দরপত্রে একচ্ছত্র সুবিধা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে বাধা, ব্যাংক লেনদেনে অতিরিক্ত কমিশন ও আর্থিক সুবিধা পেয়ে আসছে সিএনএস।

সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই অনিয়ম রোধ করতে চায়। তবে দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে হবে এবং অন্যান্য যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। অতিরিক্ত কমিশন ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। সরকারি প্রকল্পগুলোর জন্য নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।



আর্কাইভ

বাংলাদেশের বাজারে ইউমিডিজি’র নতুন স্মার্টফোন ‘জি৯ ফাইভজি’
বাংলালিংকের নতুন সিইও ইওহান বুসে
এখনো সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের আইসিটি কোম্পানি সিএনএস এর কব্জায় বিআরটিএ
বিইউবিটি এবং বিডিওএসএন এর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত
বাজারে নতুন স্মার্টফোন আইটেল পাওয়ার ৭০
বাজারে ভিভো’র নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৫০ ফাইভ জি
রমজান ও ঈদের সেরা মুহূর্ত ক্যাপচার করে ভি৫০ ফাইভজি স্মার্টফোন জিতে নেয়ার সুযোগ
বাজারে হেলিও ব্র্যান্ডের নতুন স্মার্টফোন হেলিও ১০০
গেমারদের জন্য এলজি’র নতুন মনিটর
এমডব্লিউসি ২০২৫ এ ইনফিনিক্সের এআই ও ইকো-টেক উদ্ভাবন প্রদর্শন