রবিবার ● ১২ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » ন্যাশনাল পেমেন্ট এগ্রিগেটর হিসেবে আসছে ‘একপে’
ন্যাশনাল পেমেন্ট এগ্রিগেটর হিসেবে আসছে ‘একপে’
বাংলাদেশে আর্থিক সেবা খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে আর্থিক সেবাভুক্তি’র আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি বিভাগ), বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ‘একপে’ প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছে। একপে’র মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ নির্ভরযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, যা নাগরিকদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোন পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে সকল ধরনের ইউটিলিটি বিল, শিক্ষা ফি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধের সুবিধা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি আইসিটি বিভাগের এটুআই সম্মেলন কক্ষে ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর উদ্যোগে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও একপে’র অংশীজনদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ‘আর্থিক সেবায় পেমেন্ট ইকোসিস্টেম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে অধিকতর নাগরিক বান্ধব ও জনগণকে আর্থিক সেবার অর্ন্তভূক্তিকরণে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির যুক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। আর্থিক সেবাখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে আর্থিক সেবাভুক্তি’র আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক ‘একপে’ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ন্যাশনাল পেমেন্ট এগ্রিগেটর হিসেবে একপে’কে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একপে নিয়ে যেনো সঠিকভাবে প্রচার করা হয়, আমরা এখন তা চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিকালে একপে নিয়ে অনেকের আস্থাহীনতা কেটে গেছে। একপে হবে দেশের সবচেয়ে বিশ^স্ত পেমেন্ট এগ্রিগেটর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজর ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম এর ক্ষেত্রে দেখা যায়, একই সিস্টেমে দুটো পৃথক এনটিটি হয়েও তারা ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করতে পারছে না। আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যেখানে ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত হবে। নিরাপদ ও সরকারি উদ্যোগ হিসেবে ‘একপে’ কে নাগরিকবান্ধব হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে একপে প্ল্যাটফর্মকে এমন একটা অবস্থায় আইসিটি বিভাগ নিয়ে যেতে চায়, যেখানে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান, ইউটিলিটি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সকল ব্যাংক, এমএফএস, ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম সহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মামুনুর রশীদ ভূঞাঁ বলেন, এটুআই কর্তৃক উদ্ভাবিত একপে মূলত বিভিন্ন ধরণের সেবার ফি ও বিল প্রদানের পদ্ধতি সহজ করছে। উদ্ভাবন হিসেবে যাত্রা শুরু করে স্বল্পসময়ে একপে এর কার্যকারিতা দৃশ্যমান হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একপে প্ল্যাটফর্মকে নিয়ে আস্থাহীনতার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। কিন্তু আমরা আশ^স্ত করতে চাই, একপে’তে আস্থাহীনতার কোনো সুযোগ নেই। এই উদ্যোগটি দেশের ন্যাশনাল পেমেন্ট এগ্রিগেটর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে আইসিট বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কর্মশালায় ‘পেমেন্ট ইকো সিস্টেমে একপে’র ভূমিকা ও করণীয়’ বিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটুআাই এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মো. শাহাদাত হোসনের সঞ্চলনায় উক্ত প্যানেলের আলোচক হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রাশেদ এবং ইউএনসিডিএফ এর ক্যান্ট্রি প্রজেক্ট ম্যানেজার সাদাত মাইনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই-এর হেড অব প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট আবদুল্লাহ আল ফাহিম।