বৃহস্পতিবার ● ২৬ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » নৌযানে ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
নৌযানে ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
নৌযানে ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। চলতি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী নৌযানে ডিভাইস সংযোজনের মাধ্যমে ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিং পদ্ধতি শুরু হয়েছে। এর মূল সার্ভার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যলয়ে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল রুটে পরীক্ষামূলক চলাচল সফল হলে অন্যান্য রুটেও এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু হলে দেশের প্রায় ৪০ হাজার নৌযান নিয়ন্ত্রণে আসবে। প্রথমে বড় ও পর্যায়ক্রমে সব নৌযান এর আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে সেলফোন অপারেটর রবি এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসের দাম রাখা হবে ২০ হাজার টাকা। পরে বার্ষিক সার্ভিস চার্জ আদায় করবে বিআইডব্লিউটিএ। প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কিলোমিটারে চলাচলকারী নৌযানের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, নৌযানের চলাচল নিয়ন্ত্রণ, নির্দিষ্ট গন্তব্যের তথ্য সংগ্রহ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো নৌযানের ডিজিটাল ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটি সফলভাবে চালু করতে পারলে বিআইডব্লিউটিএর জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দেশে নৌপথে চলাচলকারী নৌযানের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করাই ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিংয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য।
পরীক্ষামূলক ট্র্যাকিং সফল হলে এ বিষয়ে নৌযান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করবে বিআইডব্লিউটিএ। এর সুবিধা পেতে প্রতিটি নৌযানে কিছু অবকাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য সব নৌযান মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ভ্যাসেল ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগটি বেশ ভালো ও সময়োপযোগী। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ১০ বছর আগে থেকেই এ পদ্ধতি চালু হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত নৌযান উদ্ধারে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৫০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ কিনছে বিআইডব্লিউটিএ। নভেম্বরের মধ্যে জাহাজ দুটি দেশে এসে পৌঁছবে। এদের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্পিডবোট। নতুন-পুরনো মিলিয়ে চারটি উদ্ধারকারী জাহাজের মধ্যে বড় দুটির একটি চাঁদপুর ও অন্যটি বরিশালে রাখা হবে। ছোট দুটির একটি কিশোরগঞ্জে অন্যটি রাখা হবে খুলনায়।