মঙ্গলবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » যাত্রা শুরু করলো তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্লাটফর্ম ‘ইউনেট’
যাত্রা শুরু করলো তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্লাটফর্ম ‘ইউনেট’
তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, ক্ষমতায়ন ও নেটওয়ার্কিং তৈরির প্লাটফর্ম ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্ক সংক্ষেপে ‘ইউনেট’ যাত্রা শুরু করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে একটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনেটের পথচলা শুরুর পাশাপাশি তাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘কর্পোরেট নেভিগেটর’-এর প্রথম ব্যাচের উত্তীর্ণ অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেখক, উদ্যোক্তা ও টেক ইভেনজেলিষ্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল ও মাহির আসেফ। তারা জানান, মিয়াকির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত ইউনেট একটি বাংলাদেশভিত্তিক উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হলো শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করা। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রয়োজনীয় সব সফট স্কিল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করে সফল হবার জন্য, তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা জানানো, চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরিতে সহযোগিতা, সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে কাজ করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা ইউনেটের মূল লক্ষ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক।
অনুষ্ঠানে ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, ইউনেটের জন্ম হয়েছে একটি সাধারণ কিন্তু শক্তিশালী বিশ্বাস থেকে: যে কোনো তরুণ-তরুণী যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই উঠে আসুক না কেন, প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সেরাটায় পৌঁছে যাবার সুযোগ পাবার পূর্ণ অধিকার রাখে। ইউনেটের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরি ও উদ্যোক্তা হিসেবে ক্ষমতায়িত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও মাহির আসেফ বলেন, এই অনুষ্ঠানে, আমরা শুধু আমাদের ইউনেট কর্পোরেট নেভিগেটর প্রথম ব্যাচের উত্তীর্ণদের সাফল্য উদযাপন করছি না, বরং একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সূচনা করছি, যা যুবসমাজকে একটি উজ্জ্বল আগামী দিনের জন্য ক্ষমতায়িত করবে।
ইউনেট কর্পোরেট নেভিগেটরদের প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছেন কে এম হাসান রিপন (ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট), ড. সৈয়দুল আশরাফ কুশল (লাইফস্প্রিং), একেএম মনির হোসেন (বাংলাক্যাট গ্রুপ), প্রফেসর এস এম আরিফুজ্জামান (কাজী কনসালট্যান্টস), কাজী নুরুস সোফা (বিকাশ লিমিটেড), আলেয়া ফেরদৌসী (উপায় লিমিটেড), সোলায়মান আহমেদ জিসান (পাবলিক স্পিকিং প্রফেশনাল), জাফির শাফি চৌধুরী (বন্ডস্টেইন টেকনোলজিস লিমিটেড), নিয়াজ আহমেদ (কর্পোরেট আস্ক), মোঃ শাহরিয়ার ইমরান (এনসিসি ব্যাংক) এবং ইব্রাহিম খলিল (এসএসএল ওয়্যারলেস)।