বৃহস্পতিবার ● ১৯ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি আপডেট » এমঅ্যান্ডএম টাটা মোটরসের চেয়ে এগিয়ে
এমঅ্যান্ডএম টাটা মোটরসের চেয়ে এগিয়ে
ভারতের যাত্রীবাহী গাড়ির বাজারে একসময় টাটা মোটরস দ্বিতীয় স্থানে ছিল। কয়েক বছর আগে হুন্দাই সে স্থান দখল করে। এখন মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রাও (এমঅ্যান্ডএম) টাটা মোটরসের চেয়ে এগিয়ে গেল। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
যাত্রীবাহী গাড়ির বাজারে মারুতি সুজুকি এখন শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এর পেছনেই আছে হুন্দাই, এমঅ্যান্ডএম ও টাটা। ২০১০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে কম দামি গাড়ি ন্যানো বাজারে আনে টাটা। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের দ্বিতীয় অবস্থান ফিরে পাওয়ার আশা করেছিল। কিন্তু এমঅ্যান্ডএম ও হুন্দাইয়ের সুবাদে সে আশা এখন গুড়েবালি। কয়েক মাস ধরে ভালো অবস্থানে আছে ইউটিলিটি ভেহিকেল এবং এসইউভি বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এমঅ্যান্ডএম। প্রতিষ্ঠানটির নতুন এসইউভি এক্সইউভি৫০০ ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মূলত এ কারণে এমঅ্যান্ডএমের চেয়ে টাটা মোটরস এখন পিছিয়ে।
২০১২ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত এমঅ্যান্ডএম ৬১ হাজার ৫০৪ ইউনিট বিক্রি করেছে। এক্সইউভি৫০০ ও বোলেরোর মতো এসইউভির জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠানটিকে আগ্রাসী প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে। প্রতিষ্ঠানটির অটোমোটিভ ডিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীণ শাহ বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২৩ শতাংশ বিক্রি বাড়ায় আমরা আনন্দিত। সামনের দিনগুলোয়ও ইউটিলিটি ভেহিকেলের বিক্রি বৃৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’
টাটা মোটরসের বিক্রি ৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৬০ হাজার ৪০৫ ইউনিট। এপ্রিল ও জুনে টাটা মোটরসের গাড়ি বিক্রি কম ছিল। তবে মে মাসে প্রতিষ্ঠানটি এক অঙ্কের প্রবৃদ্ধি লাভ করেছে।
টাটা ন্যানো ক্রেতাদের কাছে যতটা জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, ততটা আসলে হয়নি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ২২ হাজার ১৪০ ইউনিট টাটা ন্যানো বিক্রি হয়েছে। ন্যানো ছাড়াও টাটা মোটরসের অন্যান্য গাড়িও আর আগের মতো জনপ্রিয় নয়। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে টাটা ইনডিকা বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৭১২ ইউনিট। টাটা ইন্ডিগো বিক্রি হয়েছে মাত্র ৯ হাজার ৭২৪ ইউনিট। একই সময় আরিয়া, সুমো, সাফারির মতো এমপিভি-এসইউভি বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৮২৯ ইউনিট। এ প্রসঙ্গে টাটা মোটরস থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আইএইচএস অটোমোটিভের এমডি দিপেশ রাথোর বলেন, বেশির ভাগ ক্রেতার কাছে টাটা মোটরস এখন আর পছন্দের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। তাদের গাড়িগুলো ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। যাত্রীবাহী গাড়ির বাজারে ট্যাক্সি থেকে টাটা মোটরস আয় করলেও তা এখন সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।