বুধবার ● ৩১ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » সামষ্টিক অর্থনীতি ও রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও রবির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত
সামষ্টিক অর্থনীতি ও রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও রবির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত
সামষ্টিক অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে রবি। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করে সোমবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপারেটরটি এ তথ্য জানায়।
দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৯৫ লাখ, যার মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৫৪ লাখ এবং ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৭৬ লাখ। রবির মোট সক্রিয় গ্রাহকের ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ৬৩ শতাংশ ব্যবহারকারী ফোরজি সেবা নিয়ে থাকে। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩২৫টি নতুন ফোরজি সাইট নেটওয়ার্কে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে রবি ১৭ হাজার ৭১৫টি ফোরজি সাইট দিয়ে দেশের ৯৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ জনগনের জন্য ফোরজি কভারেজ নিশ্চিত করেছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির আয় ২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে যা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি; গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় আয়ের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) আয়সহ বছরের প্রথম ছয় মাস শেষে রবি’র আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ১২০ দশমিক ২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে রবির আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভয়েস এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে আয় বেড়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভয়েস এবং ডেটা খাতে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৭ শতাংশ, আর একই সময়ের ব্যবধানে প্রতি মাসে গ্রাহক প্রতি গড় ডেটা ব্যবহার ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইবিআইটিডিএ ছিল (৪৭ শতাংশ মার্জিনসহ) ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। সাইক্লোন রেমাল এবং সিলেট অঞ্চলে বন্যার মত প্রতিকূল আবহাওয়ায় নেটওয়ার্ক অপেরেশনে খরচ বৃদ্ধি এবং বর্ধিত সিম ট্যাক্সের কারনে ইবিআইটিডিএ- এর উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
ফলস্বরূপ, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ইবিআইটিডিএ মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ইবিএআটিডিএ মার্জিন ১ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পাঁচ শতাংশ পয়েন্ট মার্জিন বৃদ্ধিসহ ইবিআইটিডিএ ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির মূলধনী বিনিয়োগ ৬৭৬ দশমিক ৯ কোটি টাকা এবং চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকসহ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস শেষে রবির মূলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩ দশমিক ১ কোটি টাকা।
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির কর পরবর্তী (পিএটি) মুনাফা ১০৭ দশমিক ৫ কোটি টাকা এবং চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকসহ বছরের প্রথম ছয় মাসে রবির কর পরবর্তী (পিএটি) মুনাফা ২১৪ দশমিক ২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। একইসাথে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে শূন্য দশমিক ২১ টাকায় পৌঁছেছে এবং গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৩৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা, যা এই প্রান্তিকের মোট আয়ের ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকসহ বছরের প্রথম ছয় মাসে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মোট জমা দিয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা, যা এই সময়ে রবির মোট রাজস্বের ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও, রাজীব শেঠি বলেন, অর্থনৈতিক ও রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে পারায় আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের ডেটা ব্যবহারের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি মাথায় রেখে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। দুর্ভাগ্যবশত, মুদ্রা বিনিময় হার সামঞ্জস্যে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হারের কারণে ঋণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কর পরবর্তী মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, দক্ষ খরচ ব্যবস্থাপনার উপর ফোকাস থাকা সত্ত্বেও।
গ্রাহকদের কোয়ালিটি অফ সার্ভিসেস (কিউওএস) নিশ্চিতে রেগুলেটরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাজীব বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা কিউওএস রেগুলেশন অনুযায়ী প্রত্যাশিত মানের থেকে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করছি। গ্রাহককেন্দ্রিক কোম্পানি হিসেবে বিদ্যমান কিউওএস প্রবিধান অনুযায়ী তাদের জন্য বিশ^মানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে কাজ করতে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।