মঙ্গলবার ● ১০ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ২৩টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং করার অনুমতি দেয়া হয়েছে
২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ২৩টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং করার অনুমতি দেয়া হয়েছে
ব্যাংকিং সেবা মানুষের জন্য আরো সহজতর করার লক্ষ্যে ই-ব্যাংকিং ও মোবাইল কমার্স সেবা চালু করা হয়েছে। যার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা ও মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালানা করা যাবে।আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে চতুর্থ আন্তর্জাতিক ই-ব্যাংকিং ও মোবাইল কমার্স কনফারেন্স উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.আতিউর রহমান।
ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ই-ব্যাংকিং সেবা দ্রুত সম্প্রসাারিত হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস) সেবা চালু করা হবে। এ সেবা চালু হলে ইলেকট্রনিক ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুততার সাথে সম্পন্ন ও সব ধরণের লেনদেন সহজভাবে করা যাবে।
গভর্নর বলেন, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের ৭৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান অনলাইন সেবা দিচ্ছে। ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ২৩টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এ সেবার কার্যক্রম চালু করেছে। এ সেবার আওতায় ৭ লাখ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।
গভর্নর উল্লেখ করেন, বর্তমানে ৩৭টি ব্যাংক পুরোপুরি অনলাইন সেবা দিচ্ছে। আর ৪টি আংশিকভাবে ও বাকিগুলোতে অনলাইন সেবা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে দেশের ৩ হাজার ইউনিয়ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে সারাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। তবে সরকারের সব সংস্থায় পুরোপুরি তথ্য-প্রযুক্তি সেবা চালু করতে আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, সরকারি সবগুলো সংস্থায় অনলাইন সেবা চালু হলে সরকারের খরচ ও দুর্নীতি অনেক কমে যাবে। বর্তমানে অফিসে বসেই এলসি খোলা গেলেও কয়েকটি ব্যাংক এ সেবা চালু করেনি। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলো ই-ব্যাংকিং সেবায় নিয়ে আসলে গ্রাহকরা খুব সহজে লেনদেন করতে পারতো। তিনি আয়কর জমাদান পদ্ধতি আরো স্বচ্ছ ও সহজ করতে এনবিআরে ইন্টারনেট সেবা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ( অব.) জিয়া আহমেদ, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এ. কে. আজাদ, ইকো ভারত আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আনান্ড রমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।