রবিবার ● ৮ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আগামী বছরের শুরুতেই আসছে পেপ্যাল
আগামী বছরের শুরুতেই আসছে পেপ্যাল
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার এবং ওয়েব উদ্যোক্তাদের অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত সমাধান হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। আগামী বছরের প্রথমদিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান পেপ্যাল বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করবে। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি জনাব এ কে এম ফাহিম মাশরুর। আউটসোর্সিংয়ে শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকম আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার এবং কনটেন্ট ডেভেলপার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ডেভসটিমের বিজয় উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বিজয় উদযাপনের জন্য এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের [বিডিওএসএন] সাধারণ সম্পাদক জনাব মুনির হাসান, দৈনিক কালের কন্ঠের সিনিয়র সাব-এডিটর জনাব মোহাম্মদ খান, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) জনাব কাওসার উদ্দিন, মাসিক কম্পিউটার জগৎ- এর সহকারি সম্পাদক জনাব এম এ হক অনু, যুগান্তরের তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক তরিক রহমান প্রমুখ। এছাড়াও ডেভসটিম ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী এবং শুভাকাংখীরাও অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।
জনাব ফাহিম মাশরুর আরও বলেন, আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ উল্লেখজনক সফলতা অর্জন করেছে। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। সেখানে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারা প্রায় ১২ শতাংশ কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশি তরুণরা অনেক সফলতা অর্জণ করেছে। বিশ্বের সর্ববৃহ অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকম আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ডেভসটিমের চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আরেকবার স্বগৌরবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আশাকরি ডেভসটিমের এ বিজয়ের ধারা চলতেই থাকবে। একইসঙ্গে এই বিজয় থেকে দেশের তরুণরা অনুপ্রাণিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের প্রথম থেকেই বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করছে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম পেপাল। ইতিমধ্যেই পেপালের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন আইনগত বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে পেপালের যাত্রা শুরু করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। সেই হিসেবে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের প্রথমেই আনুষ্ঠানিকভাবে পেপালের সেবা পাওয়া যাবে।
জনাব মুনির হাসান বলেন, ডেভসটিমের এ অর্জণ সমগ্র বাংলাদেশের। এদেশের তরুণরাই যে আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব করবে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ডেভসটিম সফল ফ্রিল্যান্সার তৈরির জন্য যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়েছে সেটি অবশ্যই কার্যকরী। আশাকরি ডেভসটিমের এই পাঁচ তরুণের হাত ধরেই আরো অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার বেরিয়ে আসবে যারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বিডিওএসএন এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা থাকবে।
উল্লেখ্য, শীর্ষ কনটেন্ট ডেভেলপার এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার নির্বাচন করার জন্য গতমাসে ‘এসইও অ্যান্ড কনটেন্ট রাইটিং কমপিটিশন’ নামে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয়েছিল। বিজয়ীদের জন্য ১৫ হাজার ডলারের পুরস্কার ঘোষনা করা হয়। এতে অষ্ট্রেলিয়া, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট মার্কেটার এবং কনটেন্ট ডেভেলপার দল অংশ নেয়। প্রায় দেড় সহ¯্র প্রকল্প জমা পড়ে এ প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। আর এ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকার করে ডেভসটিমের ফ্রিল্যান্সার কেয়ার ডট কম (http://freelancercare.com) ওয়েবসাইটটি।
ডেভসটিম সম্পর্কে
বাংলাদেশী ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নির্মান এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে মাত্র দুমাস আগে যাত্রা শুরু করেছে ডেভসটিম। আল-আমিন কবির, ইউনুস হোসেন, মাসুদুর রশিদ, তাহের চৌধুরী সুমন ও নাসির উদ্দিন শামীম নামের ৫ তরুণ উদ্দ্যোক্তার সম্মিলিত উদ্যোগে এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সেবা দেয়ার জন্য ‘স্টিম এসইও সার্ভিসেস’ এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরির জন্য থিমেভার নামে দুটি ব্র্যান্ড রয়েছে। ক্রিয়েটিভ ডিজাইনিং এবং কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত আরও কিছু সার্ভিস ব্র্যান্ড চালুর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এছাড়াও বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ডেভসটিম সম্পর্কে জানা যাবে: http://devsteam.com ঠিকানার সাইট থেকে।