সোমবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » বেসিসের ২৫ বছর উদযাপন
বেসিসের ২৫ বছর উদযাপন
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে শপথ নিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্য ও সরকারি-বেসরকারি অংশীজনরা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বেসিসের ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা। রাজধানীর গ্রীনভিল আউটডোরসে সাফল্যের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বেসিস।
অনুষ্ঠানে বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ তৌহিদ, সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, এ কে এম ফাহিম মাশরুর, শামীম আহসান, মোস্তাফা জব্বার, এস এম কামাল, রফিকুল ইসলাম রাউলি, মাহবুব জামান ও সৈয়দ আলমাস কবীর এবং বর্তমান সভাপতি রাসেল টি আহমেদ কে সম্মননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এসময় সাবেক সভাপতিগণ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে এই খাতের আর্থিক প্রণোদনা ৮% থেকে বৃদ্ধি করতে এবং ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইটি ও আইটিইএস খাতকে কর্পোরেট করমুক্ত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও সাবেক বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপালা বিরাক্কডি, মার্কিন দূতাবাস প্রতিনিধি, কোটরা প্রতিনিধি, ফ্রান্স দূতাবাস প্রতিনিধি এবং সহ¯্রাধিক বেসিস সদস্যসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বেসিসের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সামিরা জুবেরী হিমিকা বলেন, যে জিআরসি কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একটি মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে ১৯৯৮ সালে বেসিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই রিপোর্ট এবং বেসিস উভয়েরই ২৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে বেসিস একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থান তৈরিতে বিগত ২৫ বছরে যারা বেসিসের সাথে ছিলেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই এবং পরবর্তী ২৫ বছরের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, বন্ধু এবং সহযোগী হয়ে বেসিসের উদ্যোক্তারা অবদান রেখেছিল বলেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বেসিসের ২৫০০ আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে, এটি আমরা ১০ লাখে উন্নীত করতে চাই। তিনি আরো বলেন, আইসিটি, টেলিকম ও বেসিস, আমরা কেউই কিন্তু আলাদা কোন পক্ষ নয়; আমরা সবাই বন্ধু ও সহযোদ্ধার মতো একটা টিম হয়ে গত ১৫ বছর কাজ করছি। অবশ্যই আমরা ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইটি ও আইটিইএস খাত যেন কর্পোরেট করমুক্ত থাকে সেজন্য আপনাদের সঙ্গে মিলে এক সঙ্গে কাজ করবো। আমি আগামী পাঁচ বছরে বেসিসকে ৫ বিলিয়ন ডলার অর্জনকারী সংগঠন হিসেবে দেখতে চাই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৮টি সদস্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেসিস-এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বেসিস এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৫০০। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।