বৃহস্পতিবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আইসিটি সংবাদ » নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩: হ্যাট্টিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩: হ্যাট্টিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের টিম ভয়েজার্স। এ নিয়ে এই প্রতিযোগীতায় টানা তিনবার এবং সর্বমোট চতুর্থবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ১০ম বারের মতো এই প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের আয়োজন করে।
এবারের প্রতিযোগিতায় ১৫২টি দেশ থেকে ৩০টি ক্যাটেগরিতে ৮,৭১৫টি দলের ৫৭,৯৯৯ জন বিভিন্ন বয়স এবং দক্ষতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করেন।
রাজশাহী অঞ্চলের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ভয়েজার্স-এর প্রজেক্টের মূল প্রতিপাদ্য ‘এভরিথিং স্টার্টস উইথ ওয়াটার’। পৃথিবীতে ৩৭০ কোয়িন্টিলিয়ন গ্যালন পানি রয়েছে, তবে এরমধ্যে আমাদের ব্যবহার্য নিরাপদ পানির পরিমাণ শুধুমাত্র ০.০১%। তাদের মিশন ছিল পৃথিবীতে সম্পূর্ণ পানি প্রবাহের পথ বোঝানোর জন্য একটি দৃশ্যাত্মক সরঞ্জাম তৈরি করা, যা ছাত্রছাত্রীদেরকে পৃথিবীর সিস্টেমে পানির প্রবাহ পথ এবং এটি কিভাবে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে তা বোঝানো।
বিশ্বজয়ী টিম ভয়েজার্স-এর দলনেতা মোঃ খালিদ সাকিব। এছাড়া দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মোঃ আব্দুল মালেক, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, মোসাঃ ফাহমিদা আক্তার এবং মোঃ আতিক। দলনেতা মোঃ খালিদ সাকিব বলেন, ‘ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করা থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া, এই যাত্রাটা এতো সহজ ছিল না আমাদের জন্য। তবে এখন বিশ্ব দরবারে নিজের দেশের নাম তুলে ধরতে পেরে আমরা প্রত্যেকেই অনেক গর্বিত।’
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বাংলাদেশ পর্বের আহ্বায়ক এবং বেসিসের পরিচালক তানভীর হোসেন খান বলেন, ‘এই বিশ^জয় আমাদের সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রমাণ। বাংলাদেশ আবারও দেখিয়েছে যে বৈশ্বিক মঞ্চের সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাা করে কিভাবে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হয়। আমরা আমাদের চ্যাম্পিয়নদের জন্য অত্যন্ত গর্বিত এবং তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে আমাদের এই বিশ^জয় বাংলাদেশিদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্ভাবনা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে যে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে তা আবারও প্রমাণ করেছে। এবারের হ্যাট্রিক জয়ের মাধ্যমে সর্বমোট চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা বিশ^বাসীর সামনে তুলে ধরায় আমি উষ্ণ অভিনন্দন জানাই আমাদের বিশ্বজয়ী টিমকে এবং এর সাথে যুক্ত সকল উপদেষ্টা, মেন্টর, বিচারক এবং ভলেন্টিয়ারদের কে।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩, বাংলাদেশে পর্বে উপদেষ্টা ছিলেন আরিফুল হাসান অপু এবং মাহদী-উজ-জামান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিবে এমন ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’ এবং ২০২২ সালে ‘টিম ডায়মন্ডস’- ‘সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।