রবিবার ● ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ICT News » ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সার্কুলার ইকোনমি চালুর আহ্বান
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সার্কুলার ইকোনমি চালুর আহ্বান
বর্তমান সময়ে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ই-বর্জ্য বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য। তবে বাংলাদেশের সার্কুলার অর্থনীতিতে ই-বর্জ্যরে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর পুর্নব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভয়েসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল যন্ত্রপাতির সার্কুলার ব্যবহার’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নীতিনির্ধারক, বেসরকারি খাতের কোম্পানি, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহন করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের কনসালটেন্ট তড়িৎ কান্তি বিশ্বাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এ.টি.এম. মাহবুব-উল-করিম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর মোঃ মোজাম্মেল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান, আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি গাজী মো. গোলাম সাদেক, অশোক লেল্যান্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসিফ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে সাথে প্রতি বছর দেশে ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে ই-বর্জ্য। এর ফলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মানুষের জীবনে ই-বর্জ্যের প্রভাব, এ ধরনের বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার ও সঠিক ব্যবস্থাপনাসহ সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। একই সঙ্গে ই-বর্জ্যরে ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলা এবং এর যথাযথ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারাভিযান এবং বাস্তবসম্মত আইনি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিশেষত নারী ও শিশুরা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি নীতিনির্ধারকদের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানান।