সোমবার ● ২ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভারতে পাঁচ সেলফোন অপারেটরকে দেড় হাজার কোটি রুপি জরিমানা করবে ডিওটি
ভারতে পাঁচ সেলফোন অপারেটরকে দেড় হাজার কোটি রুপি জরিমানা করবে ডিওটি
আয়কৃত অর্থের পরিমাণ কমিয়ে দেখানো ও কর ফাঁকির অভিযোগে ভারতের টেলিকম অধিদফতর (ডিওটি) দেশটির পাঁচ সেলফোন অপারেটরকে ১ হাজার ৫৯৪ কোটি রুপি জরিমানার পরিকল্পনা করছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এ বিষয়ে ডিওটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতী এয়ারটেল, আইডিয়া সেলুলার, ভোডাফোন, টাটা টেলিসার্ভিসেস, টাটা ও রিলায়েন্স কমিউনিকেশনকে জরিমানা করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’
চলতি বছরের শুরুতে ডিওটি টেলিকম খাতের আয়ের নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর জানা যায়, এ পাঁচ প্রতিষ্ঠান ২০০৬-০৭ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তাদের রাজস্ব আয় ১০ হাজার ২৬৮ কোটি রুপি কম দেখিয়েছে।
ভারতের টেলিকম নীতি অনুযায়ী অপারেটররা তাদের বার্ষিক আয়ের ৬-১০ শতাংশ লাইসেন্স ফি এবং ২-৬ শতাংশ স্পেকট্রাম ফি দেয়। আয় কম দেখানোর কারণে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটি ফি কম দিতে হয়েছে।
নিরীক্ষক নিয়োগের আগে ডিওটি এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় জানায়, তারা আয় কম দেখায়নি।
ডিওটির তথ্য অনুযায়ী ভারতী এয়ারটেলকে ২৯২ ও ভোডাফোনকে ২৫৪ কোটি রুপি জরিমানা দিতে হবে। এ ছাড়া আইডিয়া, টাটা টেলিসার্ভিসেস ও টাটা টেলিকমিউনকেশনস জরিমানা দেবে যথাক্রমে ১১৩, ২৭৩ ও ১২০ কোটি রুপি। রিলায়েন্সের জরিমানা ধার্য করা হবে ৫৪২ কোটি রুপি।
আয় কম দেখানো ও কর ফাঁকির পাশাপাশি বিভিন্ন নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে এ জরিমানা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
দুটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী জানান, বিশেষ যে দলটি তাদের প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র নিরীক্ষা করেছিল, তারা আগে জানিয়েছিল তাদের হিসাব ঠিক আছে। কিন্তু এখন আবার নতুন করে এ জরিমানার বিষয়টি তাদের জন্য অস্বস্তিকর।
রিলায়েন্সের নথিপত্র নিরীক্ষা করেছিল জয়পুরভিত্তিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান পরাখ অ্যান্ড কোং। ভারতী এয়ারটেলের নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করেছে নায়াক অ্যান্ড কিশানওয়ালা। এ ছাড়া আইডিয়া ও ভোডাফোনের নিরীক্ষা করেছে যথাক্রমে চাজেদ অ্যান্ড জোশী ও এসকে মেহতা অ্যান্ড কোম্পানি।
ভারতের টেলিকম খাতে চলতি বছরের শুরু থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ১২২টি টেলিকম লাইসেন্স বাতিল করেছিলেন। আগামী মাসে নতুন করে লাইসেন্স বণ্টনের কাজ শুরু হতে পারে।