রবিবার ● ১ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এমওটি ও ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এমওটি ও ই-পেমেন্ট পদ্ধতি চালু
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে মার্চেন্ট ওভারটাইম (এমওটি) এবং ই-পেমেন্ট (অনলাইনে শুল্ককর পরিশোধ) পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ ব্যাপারে শনিবার সকালে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এমওটি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। একই অনুষ্ঠানে তিনি ই-পেমেন্ট পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। তবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এমওটি পদ্ধতি চালু ও প্রতি বিল অব এন্ট্রিতে অতিরিক্ত একশ’ টাকা ফি নির্ধারণ করায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং কাস্টমস কমিশনারের সামনেই অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সবচয়ে বড় তিন স্টেকহোল্ডার বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার ও মেট্রোপলিটন চেম্বার নেতারা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আলোচনার আগ পর্যন্ত এ পদ্ধতি মানবেন না বলে ঘোষণা দেন।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এমওটি পদ্ধতি চালুর মধ্য দিয়ে আগামী ১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ১৬ ঘণ্টা চালু থাকবে। এমওটি খাতের অর্থযোগান দেবে আমদানি ও রফতানিকারকরা। প্রতিটি বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে তাদের দিতে হবে অতিরিক্ত একশ’ টাকা। এ অর্থ জমা হবে বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন ফান্ডে। আর ব্যয় হবে কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওভারটাইম বাবদ প্রদেয় বেতনভাতা খাতে। মূল বেতনে প্রতি কর্মঘণ্টায় প্রাপ্য অর্থের দেড়গুণ বেশি হবে মার্চেন্ট ওভার টাইমের অর্থ। শনিবার কাস্টম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এমওটি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. মারুফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. গওহর রিজভী বলেন, এমওটি পদ্ধতিতে ১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস ১৬ ঘণ্টা চালু রাখা হবে। পরে তা ২৪ ঘণ্টায় উন্নীত করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ৬০ শতাংশ থেকে একশ’ শতাংশে উন্নীত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নীতি ব্যবসাবান্ধব। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কাস্টমসে ৮শ’ থেকে এক হাজার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। লোকবল ঘাটতি পূরণ এবং পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন হলে গতিশীলতা বাড়বে। সেপ্টেম্বরে জেলায় জেলায় আয়কর মেলা এবং স্ব-কাস্টমসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি চালু করা হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ বলেন, এমওটি এবং ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে এখনও কিছুটা গলদ আছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক করে তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। ২৪ ঘণ্টা কাস্টমস খোলা রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, দ্রুত এবং সহজে কাজ হলে সামান্য ফি দিতে ব্যবসায়ীদের আপত্তি নেই। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য (কাস্টমস) নাসির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে ই-পেমেন্ট কার্যক্রমের ডেমো প্রদর্শন করেন এনবিআরের ই-গভর্নেন্স প্রোগ্রাম টিমের কর্মকর্তা কানন কুমার রায়, মেফতা উদ্দিন খান ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।