শনিবার ● ৩০ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পশ্চিমাদের চেয়ে সুখী চীনারা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পশ্চিমাদের চেয়ে সুখী চীনারা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে চীনে রয়েছে অনেক ধরনের নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমা দেশগুলোয় এ তুলনায় তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই বললেই চলে। এর পরও নতুগাযোগমান এক গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিমাদের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারে বেশি খুশি চীনারা।
হল্যান্ডের ডেলফট বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংহাইয়ের জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ৪ কোটি ৬০ লাখ মেসেজ গবেষণার পর এ তথ্য জানান। টুইটার ও চীনে টুইটারের আদলে তৈরি সিনা ওয়েবোতে করা পোস্টগুলো নিয়ে তারা গবেষণা করেন।
তাদের গবেষণা করা পোস্টগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা আর ৯৫ শতাংশ ওয়েবো ব্যবহারকারী চীনা।
গবেষণা অনুযায়ী, সিনা ওয়েবোতে পোস্ট করা ৭৯ শতাংশ পোস্টই ইতিবাচক। এর বিপরীতে টুইটারে টুইট করা ৭১ শতাংশ পোস্ট ইতিবাচক।
সিনাতে কোনো অঞ্চল ও বা ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনার সময় এর ব্যবহারকারীরা টুইটার ব্যবহারকারীদের তুলনায় বেশি ইতিবাচক মতামত দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারে দেয়া টুইটগুলোর ১৬ শতাংশই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন-সম্পর্কিত। এর বিপরীতে চীনে এর পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। অবশ্য চীনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকার কারণে ওয়েবোতে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া টুইটার এবং ওয়েবোর পোস্টগুলোর মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যায়। এর বিপরীতে ওয়েবোর ব্যবহারকারীদের মধ্যে তেমন কোনো মতপার্থক্য দেখা যায় না। ওয়েবো ব্যবহারকারীরা সপ্তাহের শেষ দিনে অন্যান্য দিনের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি পোস্ট করেন। এর বিপরীতে টুইটারে ব্যবহারকারীদের টুইটের পরিমাণ সপ্তাহশেষে ১১ শতাংশ কমে যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পোস্টে চীনাদের তুলনায় দ্রুত টুইট করে পশ্চিমারা। এ বিষয়ে বলা হয়, চীনারা কোনো মতামত দেয়ার আগে চিন্তা করে নেয়। এ কারণে তাদের পোস্টের বিপরীতে পোস্ট দিতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে।