শনিবার ● ৩০ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শীর্ষে জিপি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শীর্ষে জিপি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন বৃদ্ধি তালিকায় শীর্ষ স্থানে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন। গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ছিল এ কোম্পানির। গত সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির শেয়ারে দর ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে এ শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির ৩৮ লাখ ২৬ হাজার শেয়ারের লেনেদেন হয়, যার বাজার মূল্য ছিল ৭৮ কোটি ২২ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ দিকে বৃহস্পতিবার এ শেয়ারের দর বেড়েছে ১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ২ টাকা ৩০ পয়সা। এ দিন সর্বশেষ লেনদেন হয় ২০৯ টাকা ২০ পয়সায়। দিনভর এ শেয়ারে দর ২০৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২০৯ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। দিনশেষে এ শেয়ারের দর ছিল ২০৮ টাকা ৮০ পয়সা। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত এ শেয়ারের দর টানা বৃদ্ধি পেয়েছে। লেনদেন চিত্র থেকে দেখা যায়, গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে এ শেয়ারের দর এক দিন সামান্য কমলেও চার দিনই বেড়েছে। গত এক মাসে এ শেয়ারে সর্বোচ্চ দর ছিল ২১০ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বনিম্ন দর ছিল ১৯৭ টাকা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্প্রতি গ্রামীণফোনের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পূর্বঘোষিত ৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ১৪০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১১ সালে মোট লভ্যাংশ দেয় পরিশোধিত মূলধনের ২০৫ শতাংশ। জানা যায়, ২০১১ সালে কোম্পানিটির রাজস্ব ১৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৯০৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০১০ সালে ছিল ৭ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। ২০১১ সালে নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল ১ হাজার ৭১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৩ টাকা ৯৯ পয়সা, যা ২০১০ সালে ছিল ৭ টাকা ৯৩ পয়সা। এদিকে ২০১১ সালে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ৮১ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে মার্চ এ তিন মাসে এ কোম্পানির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৫২০ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়ে ছিল ২৮৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা।
টেলিকম খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এর অনুমোদিত মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে। প্রতিটির অভিহিত দর ১০ টাকা ও মার্কেট লট ২০০ শেয়ারে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালক, ৪ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বিদেশী বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।