মঙ্গলবার ● ৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে দেশের প্রশংসা করল বিশ্বব্যাংক
তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে দেশের প্রশংসা করল বিশ্বব্যাংক
গত এক দশকে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংকের ১২ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের নির্বাহী পরিচালকদের মধ্যে গেইর হারডি, ডিজে নর্ডকুইস্ট, প্যাট্রিজিয়ো পাগানো, জর্জ শ্যাবেজ পেরেসা, জিন কডি, হার্ভডি ভেলেরকসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, ন্যাশনাল ডিজিটাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (বিএনডিএ), টিয়ার-৩ ডেটা সেন্টার এবং কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে। এলআইসিটি প্রকল্পের সফল সমাপ্তিতে সন্তুষ্ট তাঁরা।
এ বৈঠক প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আইটি শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব পার্ক নির্মিত হলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সরকার ইতিমধ্যে ৩৭৯টি সেবা ডিজিটাইজ করেছে। এসব সেবা মানুষ অনলাইনে গ্রহণ করছে। পাঁচ বছরের মধ্যে সব সেবা ডিজিটাইজ করা হবে। জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচক উন্নয়নে সরকার তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ডিজিটাইজেশন, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টার-অপেরাবল (আন্তঃপরিবাহী) ফ্রেমওয়ার্ক।
এগুলো বাস্তবায়িত হলে ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমান ১১৫ থেকে ৫০ এ নেমে আসবে।
এ সময় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।