বুধবার ● ২৭ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি » ত্বকে রোগ তৈরি করে ল্যাপটপ- সুইডেনের চিকিত্সকদের গবেষণা
ত্বকে রোগ তৈরি করে ল্যাপটপ- সুইডেনের চিকিত্সকদের গবেষণা
বহনযোগ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে জনপ্রিয় ল্যাপটপ। কিন্তু বিধি-নিষেধ না মানলে ল্যাপটপ ব্যবহারে তৈরি হতে পারে শারীরিক জটিলতা, বিশেষত ঊরুর ত্বকে। অনেকেই ঊরুতে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। দীর্ঘসময় এভাবে ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত তাপের কারণে চর্মরোগে ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি সাধারণত টোস্টেড স্কিন নামে পরিচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ইট এরিথেমা নামেও পরিচিত। সুইডেনের কিছু চিকিত্সক সমস্যাটিকে ‘ল্যাপটপ উদ্ভূত চর্মরোগ’ নামে আখ্যায়িত করেন। ভারতের চিকিত্সক শ্রেয়াস কামাথ জানিয়েছেন, যেসব ব্যবহারকারী দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপটিকে তাদের উরুতে রেখে পড়াশোনা করেন বা গেম খেলেন, তাদের এ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ল্যাপটপ থেকে বের হওয়া তাপই এ সমস্যার মূল কারণ। বিষয়টির মিল রয়েছে যারা দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত তাপের মধ্যে কাজ করেন তাদের সঙ্গে। এ ধরনের পেশাজীবীর মধ্যে অন্যতম বাবুর্চি ও কামার।
চিকিত্সকরা আরও জানিয়েছেন, উরুতে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি হয়। ফলে ব্যবহারকারীর ত্বকে র্যাশ ও গুটি দেখা দেয়। এ নিয়ে ২০০৪ সাল থেকে গবেষণা করছেন এবং একই প্রভাব দেখছেন বলে জানিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. শেনাজ জি আরশিওয়ালা।
ব্যবহারকারী কিছু সমস্যা মোকাবেলা করলে বুঝতে পারবেন তার চিকিত্সা নেয়ার সময় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উরুর ত্বকে অস্বস্তি ভাব ও জ্বালাপোড়া করা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ সমস্যায় প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো ব্যবস্থা। প্রথমেই অতিরিক্ত তাপের উত্স চিহ্নিত করা দরকার। সাধারণত দীর্ঘ সময় ব্যবহারই এর প্রধান কারণ। উরু ও ল্যাপটপের মধ্যে কোনো আবরণ ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। ডা. আরশিওয়ালা জানিয়েছেন, ল্যাপটপকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য বাজারে কুলার পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের এ সমস্যা প্রথম দিকে ধরা পড়লে তা ওষুধ ছাড়াই সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে জটিলতা বেড়ে গেলে মলম ব্যবহার করতে হবে।