মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের রাজস্ব ছাড়িয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি
মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের রাজস্ব ছাড়িয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি
বৈশ্বিক অনলাইন মিউজিক স্ট্রিমিং ব্যবসা দ্রুত বড় হচ্ছে। প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় এ ব্যবসার রাজস্ব ১৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এ সময় মাসিক সক্রিয় গ্রাহক বেড়েছে ২১ শতাংশ। পাশাপাশি পেইড সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে ৩২ শতাংশ। চলতি বছরের শেষে মিউজিক স্ট্রিমিং ব্যবসার রাজস্ব ২০ শতাংশের বেশি হারে বাড়বে এবং মোট রাজস্ব ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর কাউন্টার পয়েন্ট।
কাউন্টার পয়েন্টের গবেষণা বিশ্লেষক অভিলাষ কুমার বলেন, ২০১৬ সাল থেকেই মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের বৈশ্বিক বাজারে দারুণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজস্বের বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি প্রবৃদ্ধি হার (সিএজিআর) ছিল ৩২ শতাংশ। এ হারই প্রমাণ করে এ ধরনের সেবার জনপ্রিয়তা কেমন। শুধু তাই-ই, কোম্পানির মোট রাজস্বের ৮০ শতাংশ এসেছে সাবস্ক্রিপশন থেকে। বাকি অংশ এসেছে বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ব্যবসা থেকে।
অভিলাষ আরো বলেন, আমরা মনে করি না এ শিল্প এখনই তার চূড়ায় পৌঁছে গেছে। এটি আরো বড় হবে।
কাউন্টার পয়েন্টের হিসাবে মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের বাজারে আধিপত্য ধরে রেখেছে স্পটিফাই। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব ও সাবস্ক্রিপশন দুদিক থেকেই শীর্ষে ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ শিল্পের মোট রাজস্বের ৩১ শতাংশ এবং মোট পেইড সাবস্ক্রিপশনের ৩৫ শতাংশই ছিল স্পটিফাইয়ের দখলে। মোটের রাজস্বের ২৫ শতাংশ এবং পেইড সাবস্ক্রিপশনের ২০ শতাংশ দখলে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অ্যাপল। রাজস্বের দিক থেকে টেনসেন্ট মিউজিক অ্যাপলের চেয়ে এগিয়ে (৩১ শতাংশ)। কিউকিউ মিউজিক, কৌয়ো এবং কুগৌ এ তিনটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে এ পরিমাণ রাজস্ব পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। তবে এর ৯০ শতাংশ সাবস্ক্রিপশনই বিনা মূল্যের।
অভিলাষ কুমার বলেন, শক্তিশালী প্রচারণা কৌশল, উদীয়মান বাজারগুলোয় প্রবেশ, নানা কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং পডকাস্টের ওপর গুরুত্ব দেয়ার কারণেই স্পটিফাই এখনো বাজারে আধিপত্য করছে। অ্যাপল এ সেবা থেকে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সাবস্ক্রিপশন মূল্য হ্রাস, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা এবং উন্নত অ্যাপের অ্যাপলকে রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করেছে। টেনসেন্ট মূলত সোস্যাল মিডিয়া থেকে বেশি লাভবান হয়েছে।