মঙ্গলবার ● ১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্ল্যানেট এক্স আসলে একটি ব্ল্যাকহোল!
প্ল্যানেট এক্স আসলে একটি ব্ল্যাকহোল!
সৌরজগতের গ্রহ ৮টি। গ্রহগুলো হচ্ছে বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, এবং নেপচুন।
তবে একদল বিজ্ঞানীরা কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন আমাদের সৌরজগতে নবম গ্রহ আছে। রহস্যময় গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে ‘প্ল্যানেট এক্স’। এটি নেপচুন গ্রহের পরবর্তী সীমানায় তার কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। আর এমন মতবাদ নিয়ে মতভেদ ছিল দীর্ঘদিন। গ্রহটিকে ‘প্ল্যানেট নাইন’ও বলা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এর ভর পৃথিবীর চেয়ে ১০ গুণ বেশি, এটি সূর্যকে ২০ হাজার বছরে একবার প্রদক্ষিণ করে।
২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা প্রথম প্ল্যানেট এক্সের ব্যাপারে মতবাদ দেন। এখনো পর্যন্ত এই রহস্যময় গ্রহ বা মহাজাগতিক বস্তুকে দেখতে পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে আরেকদল গবেষকের ধারণা ভবিষ্যতে নিবিরু নামের একটি গ্রহ পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে, যাতে ধ্বংস হয়ে যাবে এই পৃথিবী। আর কেউ কেউ বলেন ওই নিবিরু আসলে ‘প্ল্যানেট এক্স’।
কিন্তু সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, যে রহস্যময় গ্রহটিকে নবম গ্রহ হিসেবে মনে করা হচ্ছে সেটি আসলে কোনো ‘গ্রহ’ই নয়। ডারহাম ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, সেটি আসলে বোলিং বল আকারের একটি ‘ব্ল্যাকহোল’। নতুন এই তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে বিজ্ঞানীদের ধারণা এর অভ্যন্তর থেকে রেডিয়েশন বের হয়ে আসার প্রমাণ পাবেন তারা। বিশেষ করে ব্ল্যাকহোলের চারপাশে থাকা ডার্ক ম্যাটারের সাথে সংঘর্ষে গামা রশ্মি তৈরি হবে বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এই তথ্য জানানো দুই গবেষক জেমস আনউইন ও জ্যাকুব স্কোলজ বলছেন, এই ব্ল্যাকহোলটি প্রাইমোরডিয়াল শ্রেণির ব্ল্যাকহোল। এ ধরনের ব্ল্যাকহোল বিগ ব্যাং এর সময়ে সৃষ্টি হয় এবং এগুলো আকারে এতোই ছোট হয় যে তা শনাক্ত করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: দ্য সান, সি নেট