বুধবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » বাংলাদেশকে ট্যাক্স দেবে ফেসবুক
বাংলাদেশকে ট্যাক্স দেবে ফেসবুক
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকেই এখানে তাদের কাজ হবে। এজন্য তারা বাংলাদেশে একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করছে।বাংলাদেশ সরকারকে ট্যাক্সও দেবে ফেসবুক।
ঢাকা সফররত ফেসবুকের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার বৈঠক করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ছিলেন। বৈঠকে কী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন তথ্য ও প্রশ্নের জবাব দিতে ফেসবুক তার রেসপন্স টাইম কমিয়ে আনবে। এজন্য তাদের প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ ও কারিগরি উন্নয়ন ঘটাবে। তারা বাংলাদেশে একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করতে যাচ্ছে।”
তিনি জানান, ‘‘হেট স্পিচ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের ব্যাপারে তারা আমাদের সহায়তা করবে। তারা বিষয়গুলো মনিটর করবে। শুধু বাংলা ভাষায় নয়, এমনকি রোমান হরফে বাংলা লিখলেও তারা তা মনিটর করতে পারে বলে আমাদের জানিয়েছে। এজন্য তারা যদি কোনো টেকনিক্যাল টিম তৈরি করতে চায় তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।”
ফেসবুক, গুগগলসহ আরো যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে সেগুলোকে করের আওতায় আনছে জাতীয় রাজস্ববোর্ড (এনবিআর)। বৈঠকে এ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘‘ফেসবুক বাংলাদেশের প্রাপ্য ট্যাক্স দিতে চায়। এখন সেটা কী প্রক্রিয়ায় দেয়া হবে বা আমরা কী প্রক্রিয়ায় নেবো সেটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। সেজন্য ফেসবুক কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছে। আর তারা বাংলাদেশের আইন-কানুন মেনেই এখানে ওদের অপারেশন চালাবে। এই প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে।”
ফেসবুকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বা এখানকার নাগরিকদের আইনগত ব্যবস্থা স্থানীয় আইনে হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করলে সেটা বাংলাদেশের আইনে এখানকার আদালতেই হবে। মামলা হলে তাদের এখানকার আদালতেই হাজির হতে হবে। এটাই নিয়ম। তবে এটা তো আমাদের আগ বাড়িয়ে তাদের জানানোর দরকার নেই।”
বাংলাদেশে ফেসবুক অফিস খুলবে বলে শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তারা অফিস খুলছে না। এখানে একজন স্থ্নাীয় প্রতিনিধি নিয়োগ করবে। ওই প্রতিনিধি বাংলাদেশ সরকারের সাথে ফেসবুকের যোগাযোগ রক্ষা করবেন। ফেসবুকের পলিসি কম্যুনিকেশন ম্যানেজার (এমার্জিং মার্কেট) অ্যামি সাওত্যিয়া লেফার্ভ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ফেসবুক বাংলাদেশে কোনো অফিস করছে না। এবং অদূর ভবিষ্যতে এর কোনো পরিকল্পনাও নেই। আমরা বিশ্বের অনেক দেশেই আমাদের কার্যক্রম চালাই, যেখানে আমাদের কোনো অফিস নেই। বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। তবে বাংলাদেশে আমরা স্থানীয়ভাবে একজন পাবলিক পলিসি প্রতিনিধি নিয়োগ করছি।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ডেডিকেটেড টিম আছে। তারা বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেন। আঞ্চলিক অফিস আছে। তারাও বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করেন।”
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হয়েছে তা প্রকাশ করেননি ফেসবুকের এই প্রতিনিধি। এদিকে একজন মাত্র প্রতিনিধি ফেসবুকের অপারেশন বাংলাদেশে কিভাবে দেখবে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আমাদের চাহিদামতো সার্ভিস পেলেই হলো। তার অফিস খুললো না প্রতিনিধি নিয়োগ করলো সেটা আমাদের কাছে মূখ্য নয়। তারা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা সেবা পেলেই হলো।” তিনি জানান, ভারতে ফেসবুকের অফিস আছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত হয় ওদের সদরদপ্তরে।