রবিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » এখন থেকে চসিকের রাজস্ব কার্যক্রম চলবে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে
এখন থেকে চসিকের রাজস্ব কার্যক্রম চলবে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে
রাজস্ব বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রমকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিয়ে এসেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এর অংশ হিসেবে আটটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। প্রথম ধাপে চারটি, দ্বিতীয় ধাপে তিনটি এবং তৃতীয় ধাপে একটি ব্যাংকের সঙ্গে সম্প্রতি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর ফলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পৌরকর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি নিয়মিত হালনাগাদকরণ, হোল্ডিং মালিকদের কর প্রদান সহজ করা ও সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে রাজস্ব বিভাগ ও এস্টেট শাখার আওতাধীন হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, মার্কেটের দোকান ভাড়া, উন্নয়ন চার্জ, ইজারাকৃত সম্পত্তির যাবতীয় কর ও ভাড়া ইত্যাদি অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আদায় করার এ উদ্যোগ নেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সমঝোতা চুক্তি হওয়া ব্যাংকগুলো হচ্ছে: ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হওয়ায় চসিকের পরিষেবা আরও গতিশীল হবে। নগরবাসী ঘরে বসেই চসিকের সব তথ্য-উপাত্ত পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি রাজস্ব বিভাগে স্বচ্ছতা আসবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে বিগত বছরগুলোর তুলনায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বমোট আদায় হয়েছে ২৬০ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৫২১ টাকা ৭৬ পয়সা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ২৪৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৬৯ টাকা ২৯ পয়সা। অর্থাৎ, গত অর্থবছরে ১৬ কোটি ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬২৬ টাকা ৪৭ পয়সা বেশি আদায় হয়েছে।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম জানান, বিগত অর্থবছরের চাইতে এবার চসিকের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে রাজস্ব শাখাভুক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স, এস্টেট ম্যানেজমেন্ট, অনলাইন ফাইলিং এবং ট্রেড লাইসেন্সকে ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নগরবাসী তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, মার্কেটের দোকান ভাড়া, উন্নয়ন চার্জ এবং ইজারাকৃত সম্পত্তির যাবতীয় ট্যাক্স ও ফি অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমি যখন করপোরেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ছিল ৯ কোটি টাকা। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি টাকায়। এ খরচ যোগাতে করপোরেশনকে পৌরকর আদায়ে জোর দিতে হচ্ছে। করপোরেশনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতাসহ বিবিধ সেবা সচল রাখতে হলে নগরবাসীকে নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।