বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বসানো হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসেবা
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় বসানো হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসেবা
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি সেবা যোগ করা হবে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায়। সেতুর দুই পাশে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ায় পুরো সড়কের মতো সেতুতেও যানবাহনের গতি নিরবচ্ছিন্ন রাখার উদ্দেশ্যে টোল প্লাজায়ও থামবে না গাড়ি। তবে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এ সেতুর টোল বেশি নির্ধারণ করা হচ্ছে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সরকার বলছে, টোলের হার নির্ধারণ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তই নেয়া হয়নি। পদ্মা সেতু হলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কমে আসবে দূরত্ব ও জ্বালানি খরচ, বাঁচবে সময়।
সেতুর দুই পাশে ঢাকা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ৫৫ কিলোমিটার এ সড়কের কোথাও থামাতে হবে না গাড়ি। এর মধ্যে সেতুর শুরুতে এবং শেষে নির্মাণ করা হয়েছে টোল প্লাজা। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের করা চুক্তিতে এ টোল প্লাজায় যোগ করা হচ্ছে বিশ্বের অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি সুবিধা।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক উন্নতে দেশেও এখন ইটিসি বা ইজি পাস চলে এসেছে, পদ্মা সেতুতে প্রথম দিন থেকেই এটি থাকবে। ফুল স্পিডে গাড়ি যাবে এবং গাড়ির ড্যাসবোর্ডে যন্ত্র লাগানো থাকবে ওখান থেকেই সংকেতটা নিয়ে নিবে। গাড়িতে লাগানো যন্ত্রটা প্রি-পেইড, গাড়ি গেলেই টাকা কেটে নিবে।’
তবে গোল বেধেছে টোল আদায়ের হার নিয়ে। বিদেশী অর্থায়নে সেতু নির্মাণ হলে টোল আদায়ে থাকে তাদের নির্দেশনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হওয়ায় নেই নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা। ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বঙ্গবন্ধু সেতুর তুলনায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর টোল কয়েকগুণ বেশি আদায়ের প্রাথমিক প্রস্তাবনা সেতু কর্তৃপক্ষের। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তার যৌক্তিকতা বিবেচনার আশ্বাস সরকারের।
টোল আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একটি অনলাইনকে বলেন, ‘টোলের ব্যাপারটা নির্ধারণ হওয়ার আগেই আমি কিভাবে আগাম এটা বলতে পারি। উদ্বোধনের আগেই মন্তব্য করলে বিভিন্ন রকম গুজব ছড়াতে পারে। তিনি বলেন, টোলের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় টোল থেকে আদায় করা অর্থ দিয়ে সরকারের ঋণ শোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ৩৫ বছরে সরকারকে এ ঋণের টাকা শোধ করতে হবে।