সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, নভেম্বর ২, ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
রবিবার ● ২৫ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » লাইসেন্স নবায়নে কঠোর শর্তের মুখোমুখি টেলিটক
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » লাইসেন্স নবায়নে কঠোর শর্তের মুখোমুখি টেলিটক
৯০৭ বার পঠিত
রবিবার ● ২৫ আগস্ট ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লাইসেন্স নবায়নে কঠোর শর্তের মুখোমুখি টেলিটক

---
ক্রমাগত লোকসান কমাতে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে কঠোর শর্তে। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করে রাজস্ব বাড়ানোর শর্ত জুড়ে দেয়া হবে লাইসেন্স নবায়নের সময়। লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে বিটিআরসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে সরকারী অপারেটর টেলিটক। টেলিটকের পক্ষ থেকে লাইসেন্স নবায়নে লাইসেন্স ফিসহ সব কাগজপত্র বিটিআরসির কাছে গত বৃহস্পতিবার জমা দেয়া হয়েছে। অপারেটরটির ১৫ বছরের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র ৭ দিন বাকি আছে। এর মধ্যে টেলিটককে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র বিটিআরসির কাছে জমা দিতে হবে। সকল কাগজপত্র পাবার পরই টেলিটকের লাইসেন্স নবায়নের বিয়য়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিটিআরসি।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি জন্মলগ্ন থেকেই ক্রমাগত লোকসান গুনে আসছে। টেলিটকের এমডি সাহাব উদ্দিন বলেন, টেলিটক দীর্ঘ ১৫ বছর চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে চলে এসেছে। অন্য কোম্পানিগুলো ফোর জি নেটওয়ার্কে চলে গেছে। কিন্ত টেলিটক বাজারে অন্য অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারেনি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানকে একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে। তাছাড়া দেশের মানুষেরও টেলিটকের প্রতি ভালবাসা রয়েছে। তা না হলে টেলিটক আজ এমন পর্যায়ে আসতে পারত না। অন্য অপারেটররা গোটা বাজারে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। কিন্ত টেলিটকের বিনিয়োগ খুব কম হলেও এমনও গ্রাহক রয়েছে টেলিটক ছাড়া অন্য কোন অপারেটরের কাছে যায়নি। আমি মনে করি টেলিটক দেশীয় কোম্পানি হিসেবে আরও ভাল করবে। ভবিষ্যতে আমাদের অনেক কর্মসূচী রয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে টেলিটক একটি পর্যায়ে চলে যাবে।

এমডি বলেন, বিটিআরসি লাইসেন্স নবায়নের জন্য টেলিটকের কাছে যেসব কাগজপত্র চেয়েছে তার প্রায় সবই দেয়া হয়েছে। দু’একটি কাগজ বাকি থাকতে পারে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে ওসব কাগজপত্র জমা দেয়া হবে। আমরা দেড়মাস আগে নির্ধারিত ফি দিয়ে বিটিআরসির কাছে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করেছি। লাইসেন্স নবায়নে এখন তারা বিটিআরসির চিঠির অপেক্ষায়। বিটিআরসির নির্দেশ অনুয়ায়ী পদক্ষেপ নেবে টেলিটক কর্তৃপক্ষ। বিটিআরসির নির্দেশ কি হবে তা জানা যায়নি।

বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে বিষয়টি উঠেছিল। কিন্তু টেলিটকের লাইসেন্স নবায়নে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরবর্তী বৈঠকে টেলিটকের লাইসেন্সের বিষয়টি সুরাহা করতে পারে। আগামী ৩১ আগস্ট টেলিটকের লাইসেন্স নবায়নের শেষদিন। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটকের লাইসেন্স নবায়ন হয়ে যাবে। তবে এবার বেশ কিছু কঠোর শর্ত থাকতে পারে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি জন্মলগ্ন থেকেই লোকসান গুনে আসছে। যাতে লোকসান দিতে না হয় এমন কিছু শর্তের মধ্যে টেলিটকের লাইসেন্স নবায়ন হবে। ২০১১ সালে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের লাইসেন্স নবায়ন হয়। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং সিটিসেলের লাইসেন্স নবায়নের সময় স্পেকট্রাম চার্জ হিসেবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা নেয় বিটিআরসি; যার অর্ধেকটাই যায় গ্রামীণফোনের পকেট থেকে। তখন লাইসেন্স ফি হিসেবে ছিল মাত্র ১০ কোটি টাকা। তবে অপারেটরগুলোর স্পেকট্রাম চার্জের জন্যই বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এখন টেলিটকের বিষয়ে কি হবে সেটি চূড়ান্ত না হওয়ার কারণেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিটিআরসি। তবে এবার বোর্ড সভায় টেলিটকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইতিবাচকই হবে বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র জানিয়েছে, ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের পঞ্চম অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছিল টেলিটক। যদিও সেবা চালু করতে আরও এক বছরের বেশি সময় লেগে যায়। লাইসেন্স পাওয়ার আগেই তখনকার বাংলাদেশ টেলিফোন এ্যান্ড টেলিগ্রাফ বোর্ডের (বিটিটিবি), বর্তমানে বিটিসিএলের একটি প্রকল্প হিসেবেই মোবাইল সেবা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। পরে আলাদা একটি কোম্পানি হিসেবে লাইসেন্স পায় টেলিটক। শুরুতে গ্রাহকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেললেও পরবর্তীতে আর সুবিধা করতে পারেনি সরকারী এই কোম্পানি। গ্রাহক সেবায় নতুন কিছু করতে না পারায়ই মূলত টেলিটকের এমন অবস্থা। তবে ২০১২ সালে অন্য অপারেটরের আগে থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্মের) সেবা চালু করে টেলিটক। তখন পরীক্ষামূলকভাবে সেবা চালু করলেও পরে লাইসেন্স নিয়েছে টেলিটক। তবে স্পেকট্রামের মূল্য এখনও পরিশোধ করেনি অপারেটরটি। এই সময় টেলিটক কিছু গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। কিন্তু টেলিটক গ্রাহক স্বার্থে তেমন কোন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারেনি অপারেটরটি। এ কারণেই কখনই তাদের মার্কেট শেয়ার ভাল হয়নি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এ বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী দেশে মোট কার্যকর সিম আছে ১৬ কোট ১৭ লাখ। এর মধ্যে টেলিটক মাত্র ৩৮ লাখ ৯৬ হাজারে অবস্থান করছে। অথচ এই অপারেটরটির গ্রাহকই এক সময় অর্ধকোটিতে চলে গিয়েছিল। মানুষের বিপুল আগ্রহও ছিল টেলিটক ব্যবহারের। কিন্ত সারা দেশে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যর্থ হওয়ায় ধীরে ধীরে মানুষ টেলিটকের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। ফলে টেলিটকের মার্কেট শেয়ার এখন মাত্র ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এখান থেকে বের হতে বর্তমান এমডি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ডিজিটাল সেবা উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিটিআরসিতে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ইমো
আবারও গ্লোবাল টপ ফাইভ ব্র্যান্ডের তালিকায় স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স
ইন্টারনেট সেবায় বৈষম্য দূর করার আহবান
দেশের বাজারে এফোরটেক এর নতুন ২টি ওয়্যারলেস কীবোর্ড
বাজারে টেকনো’র স্পার্ক-৩০ সিরিজের ট্রান্সফরমারস এডিশন
বাংলাদেশে গ্লোবাল এনক্রিপশন দিবস ২০২৪ পালিত
ইন্টারনেট শাটডাউন ও বেসরকারী খাতের ব্যবসা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বাজারে গিগাবাইটের অরোজ জেড৮৯০ মাদারবোর্ড
বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো নতুন স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো