বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » গুজব প্রতিরোধে কেনা হচ্ছে বিশেষ যন্ত্র
গুজব প্রতিরোধে কেনা হচ্ছে বিশেষ যন্ত্র
গুজবসহ যে কোনো ধরনের অপপ্রচার বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য ‘ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর’ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা দিয়ে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এই সিস্টেম কেনা হবে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে এবং যে কোনো ধরনের নাশকতা দমনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি উন্নত প্রযুক্তির এ ব্যবস্থা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাবের পাশাপাশি আরও এক হাজার ২৮০ কোটি টাকার চারটি ক্রয়প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্ট’ কেনায় সায় দিয়েছে সরকার। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এটা কেনা হবে। এর আগেও এ ধরনের একটি যন্ত্র কেনায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে এর সংখ্যা দুটি হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এ রকম আরও গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এ ধরনের গুজব কারা ছড়াচ্ছে, তা এ যন্ত্রের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে। গুজব কারা ছড়াচ্ছে, তাদের সহজে চিহ্নিত করা ও প্রতিরোধের জন্য সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, গুজব থেকে সকলকে সতর্ক হতে হবে।
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এ ছাড়া সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বেলারুশিয়ান পটাশ কোম্পানি (বিপিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় সাড়ে চার লাখ টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ১০৯ কোটি টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ২৯১ ডলার।
তিনি জানান, এ ছাড়া সভায় জকিগঞ্জ-১ কূপ খননের জন্য ড্রিল বিট, কেসিং অ্যাক্সেসরিজ ও লিনার হ্যাঙ্গার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া দুই বছর মেয়াদে বিআরটিএর মোটরযান-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ডিজিটাইজ করে আর্কাইভ আকারে সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা সিস্টেম সার্ভিস কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৮ কোটি টাকা।