বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » গুগলের বিরুদ্ধে তুলসির ৫ কোটি ডলারের মামলা!
গুগলের বিরুদ্ধে তুলসির ৫ কোটি ডলারের মামলা!
গুগলের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যমূলক আচরণ’-এর অভিযোগ তুললেন মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি তুলসি গ্যাবার্ড। শুধু অভিযোগ তুলেই থেমে থাকেননি তিনি। লস অ্যাঞ্জেলসের ফেডারেল আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলাও ঠুকে দিয়েছেন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তথা ডেমোক্র্যাট দলের এই নেত্রী। ক্ষতিপূরণের অঙ্কও নেহাৎ কম নয়।
আদালতের কাছে গুগলকে ৫ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আর্জি রেখেছেন গ্যাবার্ড।
তার অভিযোগ, গত জুন মাসে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সংক্রান্ত ডেমোক্র্যাটদের এক বিতর্ক সভায় তার বক্তব্য সম্প্রচার কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল গুগল। যাকে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ এবং ‘বৈষম্যমূলক আচরণ’ হিসেবে দেখছেন গ্যাবার্ড। এই মর্মে শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ফেডারেল আদালতে ওই মামলা দায়ের করেছেন তিনি। যদিও গুগলের যুক্তি, গ্যাবার্ডের বক্তব্য সম্প্রচার সাময়িক বন্ধের পিছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।
সংস্থার মুখপাত্র জোস কাস্তানেদা বলেছেন, ‘প্রতারণা কিংবা জালিয়াতি রোধে গুগলের অ্যাডভার্টাইজার অ্যাকাউন্টে একটি প্রযুক্তিগত স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনওরকম অসঙ্গতি হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই নেই।
ইরাক যুদ্ধের সময় থেকে আমেরিকায় বহু চর্চিত নাম তুলসি গ্যাবার্ড। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন মার্কিন কংগ্রেসে। ২০২০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন ৩৮ বছরের এই মহিলা। তার চেয়েও বড় কথা, এই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের কোনো হিন্দু প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছেন।
গ্যাবার্ডের প্রচার কমিটির বক্তব্য উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাট দলের প্রথম বিতর্কসভা বসেছিল গত ২৭ জুন। দু’দিনের এই সভা শেষ হয় ২৮ জুন। ওই বিতর্কসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন গ্যাবার্ড। গুগলের অ্যাডভার্টাইজার অ্যাকাউন্টে তার বক্তব্য সম্প্রচার করা হচ্ছিল। যাতে আমেরিকার সাধারণ ভোটাররা গ্যাবার্ডের নীতিগত বিষয়গুলি নিয়ে অবগত হন। কিন্তু তার বক্তব্যের মাঝপথেই আচমকা সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাবার্ডের প্রচার কমিটির দাবি, সম্প্রচারের প্রক্রিয়া প্রায় ছ’ঘণ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয়। যা গণতন্ত্রের পক্ষে বড় আঘাত বলে মনে করেন গ্যাবার্ড। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ স্বাধীন মত প্রকাশের পরিপন্থী। স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এটা ভয়ঙ্কর বার্তা। যা কোনোভাবে বরদাস্ত করা যায় না।’