বুধবার ● ৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » দেশে ডোমেইন বাণিজ্যে চলছে চরম নৈরাজ্য
দেশে ডোমেইন বাণিজ্যে চলছে চরম নৈরাজ্য
তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বর্তমানে বড় মাধ্যমগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। শহর কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো জায়গায় বাদ নেই ওয়েবসাইটের ব্যবহার। বর্তমানে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েব পোর্টাল, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, ই-কমার্স, ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট, কোম্পানি ওয়েবসাইট, নিউজ বা ব্লগ সাইটসহ নানা ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি ও ব্যবহার বাড়ছে দেশে। ওয়েবভিত্তিক সলিউশন এর মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং। আর এসবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং বেচাকেনার একটি বড় বাজার।
একটি ওয়েবসাইট এর সকল ফাইল একটি সার্ভার (কম্পিউটার) এ থাকে। প্রত্যেক সার্ভার এর একটি নির্দিষ্ট IP Address (Internet Protocol Address) থাকে।
যার মাধ্যমে ঐ সার্ভারকে ইন্টারনেট এ খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন একটি ওয়েবসাইট এর সার্ভার এর IP Address হতে পারে: ১৯২.১৬৮.০.১ কিন্তু এভাবে তো আর সব ওয়েবসাইট এর IP Address মনে রাখা সম্ভব না। এই সমস্যা দূর করে দেয় Domain।
কোনো ওয়েবসাইট যে জায়গা জুড়ে থাকবে সেটাই ওই সাইটের হোস্টিং। দেখা যায়, যেকোনো ওয়েবসাইট কিছু টেক্সট এবং মাল্টিমিডিয়া (Picture / Video) দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এইগুলো যে জায়গা বা BIT দখল করে তাকে ওই সাইটের হোস্টিং বলে।
দেশের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি সব ওয়েবসাইটেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভিস প্রদানকারী কোম্পানি। এসব কোম্পানি নিয়মিত বিশ্ববাজার থেকে ডোমেইনগুলো কিনে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে থাকে। বিশ্ববাজারে বর্তমানে ১৫০০ এর অধিক ডোমেইন টিএলডি পাওয়া যায়, এর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি টিএলডি হচ্ছে: .COM, .NET, .INFO, .ORG, .ME, .BIZ, .TV, .CO ইত্যাদি। এক একটি টিএলডি এর দাম এক এক রকম। যেমন ডট কম ৮-২০ ডলার, ডট নেট ৯-২৫ ডলার, ডট ইনফো ১৩-৩০ ডলার, ডট অর্গ ১২-৩০ ডলার, ডট বিজ ১৩-৩০ ডলার, ডট মি ২৪-৫০ ডলার, ডট টিভি ৩২-৬০ ডলার। প্রতিটি ডোমেইন ক্রয় করার সময় যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, প্রায় সমপরিমাণ অর্থ খরচ করে প্রতি বছর ডোমেইন রিনিউও করতে হয়।
হোস্টিং ট্রিবিউলনাল নামে একটি ওয়েবসাইটের ব্লগের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ষাট লাখেরও বেশি ডোমেইন কেনা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০ লাখেরও অধিক ডোমেইন সচল আছে বা রিনিউ হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ৩০৬ কোটি টাকা। এই সম পরিমাণ অর্থ প্রতিবছর লেনদেন করছে দেশের ডোমেইন ও হোস্টিং সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলো। শুধু তাই নয়, কোম্পানিগুলো ডোমেইন পার্কিং করেও পরে চড়া দামে ক্রেতাদের কাছে এসব ডোমেইন বা ওয়েব ঠিকানা বিক্রি করছে। তবে আইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডোমেইন পার্কিং করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং এর বিক্রি দিন দিন বাড়লেও ডোমেইন বা হোস্টিং বেচাকেনার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার। শুধু তাই নয়, ডোমেইন বেচাকেনার কোনো অর্থই সরকার পায় না। ডোমেইন ও হোস্টিং সেবা প্রদানকারী দেশীয় কোম্পানিগুলো বিদেশি কোম্পানি থেকে রিসেলার হয়ে ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং প্রদান করে তারা মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ডের পাশাপাশি পেপাল/পেওয়নিয়ার বা অন্য কোনো অবৈধ মানি ট্রান্সফারিং এর মাধ্যমে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে তাদের টাকা পরিশোধ করে থাকে, এসব টাকার কোনো হিসাবও নেই কারো কাছে।
বাংলাদেশ ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, শুধুমাত্র তাদের সদস্য কোম্পানির কাছে দেশের ১ লাখ চল্লিশ হাজার ডোমেইন সচল আছে। এই ডোমেইনগুলোর গ্রাহকগণ গড়ে প্রতিবছর বিশ থেকে ত্রিশ ভাগ ডোমেইন নবায়ন করেন, তবে অন্য কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শতকরা ৭০-৮০ ভাগ ডোমেইন রিনিউ বা নবায়ন হয় এবং সমপরিমাণ নতুন ডোমেইনও কেনা হয়। সংগঠনটির নিবন্ধন না থাকলেও, বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭০টিরও বেশি ডোমেইন-হোস্টিং সেবা প্রদানকারী কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলোর সবাই ডোমেইন কেনাবেচা ও ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। সংগঠনটির তথ্যমতে, ডোমেইন কেনাবেচা বেশির ভাগই করে থাকেন ফ্রিল্যান্সাররা।
যেকোনো ডোমেইন নেমের শুরু ww w দিয়ে, এবং .com .net .info ইত্যাদি হচ্ছে এক্সটেনশন বা টিএলডি। প্রত্যেকটি টিএলডি বা এক্সটেনশন এর নিজস্ব মানে রয়েছে যেমন com-কমার্শিয়াল, edu-এডুকেশন, net-নেটওয়ার্কিং ইত্যাদিসহ বর্তমানে ১৫০০টিরও বেশি ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেরও নিজস্ব এক্সটেনশন রয়েছে। ডট .bd, এটি শুধু বাংলাদেশের এক্সটেনশন হিসেবে সারা বিশ্বে ব্যবহার হয়। বিশ্বে ডোমেইন নেম নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর নাম ICANN (ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নামবারস)।
বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান হোস্টিং ব্যবসা করে তারা বেশির ভাগই তৃতীয় পক্ষ। জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছে চড়া দামে ডোমেইন-হোস্টিং বিক্রি করে থাকে। বেশি দামে ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং বিক্রি করলেও গ্রাহকরা ভালো মানের সেবা পায় না এসব কোম্পানি থেকে। দেশীয় প্রভাইডার এর ওয়েবসাইটে ২৪/৭ ঘণ্টা সাপোর্ট এর কথা বলা থাকলেও হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া কেউই তা কখনই প্রদান করে না। এ কোম্পানিগুলো সার্ভিস হোল্ডারদের/ক্রেতার সরলতার সুযোগ নিয়ে নানানভাবে প্রতারিত করে আসছে। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেতারা ডোমেইন ক্রয় করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতাদের সার্ভিস দেয়ার কথা থাকলেও এসব সার্ভিস দিতে নানান সময় তালবাহানা করে প্রতিষ্ঠানগুলো।
শুধু তাই নয়, কিছু কিছু কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে চাইলে ওই কোম্পানি ডোমেইনটি কিনে তাদের নিজস্ব নামে। ফলে, মূল ক্রেতার কোনো কর্তৃত্ব থাকে না তারই নিজের ক্রয়কৃত ডোমেইনে। যার কারণে মূল ক্রেতারা এসব কোম্পানির কাছে প্রায় জিম্মি থাকে। যার ফলে ক্রেতাদের অজ্ঞতাসহ নানান কারণে বছরে অনেক পরিমাণ ডোমেইন বাতিল হয়ে যায়। শুধু তাই নয় দেশীয় বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডোমেইন কিনে থাকে। এমনটা শুধু মাত্র ক্রেতা পক্ষ না জানার কারণে হয়ে থাকে। ফলে ভোক্তভোগী ক্রেতাই হয়।
ওয়েবসাইট ও ডোমেইন হোস্টিং জরিপ প্রতিষ্ঠান ওয়েবহোস্টিংয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ওয়েবসাইট চালু হওয়ার পর ডোমেইন নবায়ন করা হয়নি। ফলে প্রতি বছরেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ডোমেইন ও হোস্টিংবিষয়ক খুঁটিনাটি অনেক তথ্য-উপাত্ত না জানায় অনেক ওয়েবসাইট বন্ধ হচ্ছে। ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে আরো জানা যায়, সঠিক বা রেজিস্ট্রার্ড কোম্পানি থেকে ডোমেইন না কেনা। বেশির ভাগ ডোমেইন নবায়ন না হওয়ার পেছনে একটি উল্লেখ কারণ হচ্ছে গ্রাহক ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সঠিক কোম্পানি সিলেকশন করতে পারে না। অনেক সময় ক্রেতারা ডোমেইন নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে না নেয়ায় ওই কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই নিজের ডোমেইন, ওয়েবসাইটটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠান বা কোনো কোম্পানি থেকে ডোমেইন-হোস্টিং না কিনে পার্সোনাল/একক প্রভাইডার কারও কাছ থেকে ডোমেইন-হোস্টিং কিনলে এ ধরনের সমস্যা বেশি হতে পারে। তাছাড়া ডোমেইন কেনার বছরের পর দ্বিতীয় বছর ফি ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দেয় ডোমেইন রিসেলাররা, এই বাড়তি টাকা না দেয়ায় ডোমেইন বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে গ্রাহকই বর্তমানে এ ধরনের সমস্যার শিকার হচ্ছেন। প্রথম বছর কম টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরের বছর দ্বিগুণ বা তিনগুণ চার্জ দাবি করা হয় গ্রাহককে। ফলে ভোক্তা আর নবায়নে আগ্রহী হয় না। আর এসবের পুরোটাই পরামর্শ দিয়ে থাকে বাংলাদেশি স্থানীয় ডোমেইন হোস্টিং সেবা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট কোম্পানি ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাজ পরবর্তী লেনদেন ঠিকমতো না হওয়ার ফলেও অনেক ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতারণার শিকার দর্পণ বিডি নামের একটি ওয়েবের মালিক মো. রুবেল হোসেন বলেন, আমি একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে হোস্টিং সেবা নিয়েছিলাম। ওই ব্যক্তি যখন ডোমেইনটা কিনেছিল নেইম শেপের কাছ থেকে, তখন সে তার ব্যক্তিগত ইমেল এবং আরো অন্য বিষয়গুলো তার নামে করেছিল। ফলে ওই ডোমেইনটার কোনো কর্তৃত্ব আমার কাছে ছিল না। যার কারণে আমি তার কাছে জিম্মি ছিলাম। শুধু তাই নয় সি-প্যানেল পাসওয়ার্ডও আমার কাছে ছিল না। ফলে প্রতিনিয়ত তার কাছে আমার যেতে হতো। আমার কাছ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে প্রচুর টাকা নিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বাংলাদেশ ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সরকার এই সম্ভাবনাময় ডোমেইন-হোস্টিংকে আলাদা খাত হিসেবে এখনো ঘোষণা করেনি। এই জায়গাটি অনেক ছোট তবে সম্ভাবনা অনেক। মানুষ এখনো সচেতন হয়নি, আমরা ইতিমধ্যে এসব বিষয় নিয়ে বেসিস এর সঙ্গে কথা বলেছি কিভাবে এটাকে কি করা যায় সেসব বিষয়ে। সার্ভিস হোল্ডারদের সঙ্গে প্রতারণার ব্যাপারে তিনি সার্ভিস হোল্ডারদেরই দোষারূপ করেন। তিনি বলেন, যারা সার্ভিস নেয় তারা অনেক সময় সচেতন না। কোনোরকম একটি ওয়েব খুলতে পারলেই হলো। এর পর নিজে আর দয়িত্ব নিতে চান না। যার কারণে এই ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আর এসব প্রতারণা করছে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। ভালো এবং বড় প্রতিষ্ঠান এই ধরনের প্রতারণা করবে না।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিস এর সভাপতি আলমাস কবির বলেন, ইন্টারন্যাশাল ডোমেইন কেনার ওপর কোনো ধরনের ভ্যাট টেক্স দেয়ার কোনো নিয়ম নেই সেটা যে কেউ কিনতে পারে। তবে কেউ যদি ডোমেইন কিনে কারো কাছে বিক্রি করে এবং সার্ভিস প্রদান করে সেক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। তবে ইন্টারন্যাশনাল বাজার ডোমেইন কেনাবেচা করার জন্য বেসিস মেম্বারদের একটি কার্ড দেয়া আছে। যেখানে কার্ড হোল্ডার প্রতিবছর ত্রিশ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারে, এই নিয়ে আমাদের ব্র্যাক ব্যাংক, ইবিএল এর সঙ্গে চুক্তি আছে। বেসিস মেম্বারদের বাইরে যারা কেনাবেচা করে তারা কিভাবে করে এই বিষয় তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রতারণার ব্যাপারে তিনি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।
ই-কর্মাস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার বলেন, ডোমেইন ক্রয় বিক্রয় বা হোস্টিং সার্ভিস বিষয়টি এখনো আলাদা খাত হিসেবে দাঁড়ায়নি। তবে এই জায়গাটি বিশাল একটি খাত হতে পারে। কারণ যে পরিমাণ দেশ দিনে দিনে ডিজিটাল হচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে ওয়েব সাইটের ব্যবহার বাড়ছে। তবে তারা রাজস্ব দিচ্ছে কিনা এই নিয়ে আমার কাছে কোনো ডাটা নেই। প্রতারণার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এই সেক্টরটি নতুন দাঁড়াচ্ছে, সে সুবাধে সরকারও তাদেরকে অনেক সুবিধা দিয়ে আসছে। এই জায়গায় যদি এরকম কিছু করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।