সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
ICT NEWS (আইসিটি নিউজ) | Online Newspaper of Bangladesh |
সোমবার ● ৫ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি জার্নাল » ডিজিটাল বিপ্লবীদের দেশ এবং কিছু কথা
প্রথম পাতা » আইসিটি জার্নাল » ডিজিটাল বিপ্লবীদের দেশ এবং কিছু কথা
৯১৫ বার পঠিত
সোমবার ● ৫ আগস্ট ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডিজিটাল বিপ্লবীদের দেশ এবং কিছু কথা

মোস্তাফা জব্বার
বার্সিলোনা ১৮: ২০১৯ সালের স্পেনের বার্সিলোনায় আয়োজিত বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেসের ৮ নাম্বার হলে আমাদের এক টুকরো বাংলাদেশ-রিভ সিস্টেমের স্টল দেখতে যাবার পথে করিডোরের বা দিকে হঠাৎ একটি বাক্য দেখে চোখ আটকে গিয়েছিল। বাক্যটির বাংলা অর্থ হচ্ছে কাতালুনিয়া: ডিজিটাল বিপ্লবীদের দেশ। এর আগে আর কোথাও বা কখনও ডিজিটাল বিপ্লবী শব্দ দুটি দেখিনি বা শুনিনি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল ব্রিটেন বা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ডিজিটাল বিপ্লবী হওয়া যায় এই ধারণাটি কাতালুনিয়াতেই প্রথম পেলাম। ১৯ সালে স্পেনের কাতালুনিয়ার বার্সিলোনায় যাবার মতোই ১৮ সালে বার্সিলোনায় যাই যখন প্রথমবারের মতো আমার সঙ্গে দেখা হয় মোবাইলের পঞ্চম প্রযুক্তির সঙ্গে। সেই প্রযুক্তির নাম ৫জি যাকে আমার কাছে এক অসাধারণ, অভাবনীয় ডিজিটাল প্রযুক্তি বলে মনে হয়েছে। ৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল কম্পিউটারের বোতাম ছুয়ে যে নতুন জগতে পা রেখেছিলাম তার সর্বশেষ পরশ এই ৫জিতে পেয়েছিলাম। সেই বছরই গিয়েছিলাম জাপানে-জাপান আইটি উইকে। সেদিন মনে হয়েছিল, সেটি যেন বার্সিলোনার পরের সিঁড়ি। এটি খুব স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, এই দুটি সফর তো বটেই ১৯ সালে আবারও মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে যোগদান বা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় উইসিস ফোরামে চেয়ারম্যান হবার কোন ঘটনাই ঘটতো না যদি ১৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে আমি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন না করতাম। মাঝ খানে এক মাসের বিরতি দিয়ে আমার পছন্দের বিষয় ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে আমার কয়েকটি ভ্রমণের বিষয়গুলো নিজের চিন্তা ভাবনার সঙ্গে যুক্ত বলে এর কাহিনীগুলো লিখে রাখা দরকার বলেই মনে করছি। কোন এক সময়ে এই ভ্রমণসমূহের অভিজ্ঞতা ইতিহাসের বাইরেও কিছু নবীনতম উপাত্তের যোগান দিতে পারে।

যৌবনকাল থেকে বিপ্লবী শব্দটির সঙ্গে আমি এবং আমাদের প্রজন্ম বেশ পরিচিত। বলতে পারেন পছন্দেরও শব্দ। এক সময়ে যারা মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-মাও সেতুং এর চিন্তাধারায় ভাবতেন, যারা হো চি মিন বা চে গুয়েভারাকে নায়ক বলে মনে করতেন কিংবা গেরিলা হবেন বলে রেজিস দেবরের বই পড়তেন, তারা কখনও কখনও বিপ্লবী নামে অভিহিত হতেন। সেই বিপ্লব মানে ছিল কমিউনিজমের লড়াই, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, পুঁজিবাদের পতন ঘটানো বা সাম্যবাদের জন্য সংগ্রাম করা। কার্লমার্ক্স এর তত্ত্ব নিয়ে এর বিস্তৃতি ঘটেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ বা মাও সেতুং এর চিন্তা-ভাবনাকে বিশ্বজুড়ে বিপ্লব বলে আখ্যা দেয়া হতো। রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে লেনিন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এর প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সেটি পূর্ব ইউরোপে প্রসারিত হয়। এর পরের দৃষ্টান্ত চীনের এবং মাও সেতুং সেই বিপ্লবের নায়ক। বর্তমান বিশ্বে বস্তুত রাশিয়া বা পূর্ব ইউরোপকে সমাজতন্ত্রের বাহক মনে করা হয় না। চীনকে মনে করা হয় একটি মিশ্র অর্থনীতির দেশ। সমাজতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোর সঙ্গে পুঁজিবাদের কিছু কিছু বিষয়কে সমন্বিত করায় চীন সমাজতন্ত্রের এক নতুন রূপ তুলে ধরেছে। সেই সূত্রে বিপ্লব মানে বিদ্রোহ, গেরিলা যুদ্ধ, আমূল পরিবর্তন, বিচ্ছিন্নতাবাদী বা স্বাধীনতার আন্দোলন। কাতালুনিয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী বা স্বাধীনতার আন্দোলন করছে বিধায় তাদেরকে সাধারণ অর্থে তেমন কোন বিপ্লবী বলাই যেতো। কিন্তু তাদের স্বাধীনতার লড়াইয়ের ইতিহাস আমাদের মতো স্বাধীনতার লড়াইকারীদের জন্য তেমন জুতসই মনে হয় না। মিটিং নাই, মিছিল নাই, গুলি নাই, বারুদ নাই রক্ত, যুদ্ধ আর অস্ত্র নাই এসবকে কি আর স্বাধীনতার লড়াই বলা যায়! স্বাধীনতাকামী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কাতালুনিয়া সম্পর্কে খুব সহজেই ইন্টারনেটে যেসব তথ্য পাওয়া যায় তাতে বোঝা যায় যে, প্রচলিত ধারার বিপ্লবে তাদের তেমন খুব একটা আগ্রহ নাই। উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, কাতালুনিয়ায় একটি বিতর্কিত নির্বাচন পদ্ধতিতে স্বাধীনতার গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর। স্পেনের সাংবিধানিক আদালত ১৯৭৮ সালের সংবিধান লঙ্ঘন করার দায়ে গণভোট বাতিল করে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর ১৭ প্রতীকী স্বাধীনতা ঘোষণা করে কাতালুনিয়ার সংসদ। এর পরপরই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে কাতালুনিয়ায় স্পেনের কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বিদেশ পালিয়ে যান ও অনেক নেতা জেলে ঢুকেন। ১৫ মে ২০১৮ কুইম টোরা কাতালুনিয়ার ১৩১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অভিনন্দন কাতালুনিয়াকে যে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পথের বদলে ডিজিটাল বিপ্লবের পথ ধরেছে।

সচরাচর ক্ষমতাসীন সরকার/ আধিপত্যবাদী/দখলদার বা ঔপনিবেশবাদীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বা স্বাধীনতাকামী যুদ্ধকে দমন করে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে এইসব দৃষ্টান্তের কমতি নাই। তবে কাতালুনিয়ায় ওরা যে বিপ্লবের স্লোগান দিয়েছে সেটিকে প্রচলিত ধারার বিপ্লবের মতো ব্যাখ্যা করা যাবে না। কারণ, ওরা সমাজতান্ত্রিক বা স্বাধীনতার বিপ্লবের কথা নয়, ডিজিটাল বিপ্লবের কথা বলছে। তাদের কোন কার্ল মার্ক্স, লেনিন, মাও সে তুং বা হোচি মিন নেই। তাদের নাই স্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা বা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার। তাদের একটা বঙ্গবন্ধু থাকলেও কথা ছিল। কিন্তু মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেস তাদেরকে এটি বোঝাতে পেরেছে যে, দুনিয়ায় অন্যরকম একটা বিপ্লব সংঘটিত হয়ে যাচ্ছে। সেই বিপ্লব মার্ক্সবাদী সমাজতান্ত্রিক নয়, তবে দুনিয়া বদলে দেবার মতো একটি বিপ্লব তো বটেই। কাতালুনিয়ানদের জন্য এই বিপ্লবী হবার ঘোষণা দানে অন্তত এটি বোঝা গেলো যে, তাদের মাথায় এখন একটি আলাদা দেশ হবার চাইতে ডিজিটাল বিপ্লব করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বহমান জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির আসন্ন প্রভাবকে স্বাগত জানাতে পারার এই সক্ষমতাকে আমি অবশ্যই ইতিবাচক হিসেবে দেখি।

মানবসভ্যতার বিকাশে মার্ক্সবাদের মূল লক্ষ্যকে সামনে রাখলে এটি ভাবা একদমই বেঠিক হবে না যে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা, জনগণের জীবনমান উন্নত করা, দারিদ্র্য দূর করা বা সমতা আনার কাজটি করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ডিজিটাল বিপ্লবীরা দুনিয়াটাকে বদলাতেই পারে। আমি নিজে সমতায় বিশ্বাস করি। যদিও এটি মনে করি যে, মার্ক্সকে এই যুগের বিপ্লবী তত্ত্বের গরু মনে করা যাবেনা। মার্ক্স এর সমাজতন্ত্র সরাসরি চতুর্থ শিল্পবের উপযোগী নয় বরং মার্ক্স প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের শিল্প বিপ্লবের জন্য লাগসই ছিল। বরং বলা যায় সমতার ধারণাটিকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে মার্ক্সের সমাজতন্ত্র, তার আগের বিশ্ব, শিল্প বিপ্লব ও তার চতুর্থ স্তরকে অনুধাবন করতে হবে। অবশ্য আমি কোনভাবেই এটি মনে করি না যেÑ প্রচলিত ধারার সমাজতন্ত্র বা তার প্রতিষ্ঠা কাতালুনিয়ার বিপ্লবীদের মূল ধারণা। বরং তারা ডিজিটাল বিপ্লব বলতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংঘটনের কথাই বলছে। নিজেদের ডিজিটাল বিপ্লবের সৈনিক ভাবতে পারাটা গৌরবেরই মনে হতে পারে। মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস বাছাই করে কাতালুনিয়া অবশ্যই একটি সঠিক কাজ করেছে।

১৯ সালেই প্রথম কাতালুনিয়া নিজেকে ডিজিটাল বিপ্লবীদের দেশ হিসেবে অভিধা প্রদান করল। শব্দটি আমার পছন্দ হয়েছে। ইউরোপের অতি সুন্দর দেশ স্পেনের একটি প্রদেশের নাম কাতালুনিয়া। বাংলাদেশের প্রায় হাজার পনেরো মানুষ থাকে কাতালুনিয়াতে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের আছে হাজার দশেক বাঙালী। তবে মাদ্রিদ নয়, কাতালুনিয়া প্রদেশের রাজধানী বার্সিলোনা এখন বিশ্বের মোবাইল প্রযুক্তি প্রদর্শনের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্ব অবশ্য বার্সিলোনা ফুটবল ক্লাব বা লিওনেল মেসির জন্য শহরটিকে বেশি চেনে। আমার নিজের হিসেবে সব কিছু ছাপিয়ে দেশটি এখন ফুটবল ক্লাব, মেসি আর ডিজিটাল বিপ্লবের জন্যই বেশি পরিচিত। গত প্রায় এক যুগ ধরে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস নামক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন হয়ে থাকে এই শহরটাতে। চার দিনের এই আয়োজনে সারা দুনিয়া থেকে প্রায় তিন লাখ মানুষ এতে অংশ নেয়। বিশ্বের এমন কোন প্রখ্যাত ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নেই যারা এখানে তাদের সর্বশেষ পণ্য প্রদর্শন করে না। বাংলাদেশের উপস্থিতি এখানে খুবই কম। একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। সরকারের টেলিকম বিভাগ বিসয়টিকে গুরুত্ব দেয় এবং কিছু বেসরকারী আইটি প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। ৮০-৯০টি দেশের প্রযুক্তি মন্ত্রীরা, শত শত মোবাইল অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষ এতে যোগ দিয়ে থাকেন।

আমি এই আয়োজনের সাক্ষী হচ্ছি ২০১৮ সাল থেকে। দু’বার অংশগ্রহণেই আমার কাছে এটি মনে হয়েছে যে, স্পেনের বিদ্রোহী প্রদেশ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বিপ্লবী না হয়ে ডিজিটাল বিপ্লবী হতে পারাটা একটি অসাধারণ ভাবনা। বিদ্যমান অবস্থাতে এই কথাটি সহজেই বলা যায় যে, দুনিয়ার কেউ চাইল বা না চাইল ডিজিটাল বিপ্লবী তাকে হতে হবেই। বাংলাদেশকে তো হতেই হবে- কারণ সারা বিশ্বকে ডিজিটাল বিপ্লবের প্রথম বাণী শুনিয়েছে বাংলাদেশ। দুনিয়ার আর কার জন্য কি তা না বললেও একটি কৃষিভিত্তিক দেশকে ডিজিটাল বিপ্লবে নেতৃত্ব¡ দিতে গেলে সকল বাঙালীকেই ডিজিটাল বিপ্লবী হতেই হবে। কেবল কাতালুনিয়া নয় সারা বিশ্বের ডিজিটাল বিপ্লবীদের কিছু কথা তুলে ধরার জন্য এই নিবন্ধটি লেখার আয়োজন করা হচ্ছে।

নিরানন্দ আকাশ ভ্রমণ : এক সময়ে আকাশভ্রমণ আমার নেশা ছিল। ট্রাভেল এজেন্সি হওয়ার সুবাদে সারা দুনিয়া ঘোরার ফ্রি টিকেট পেতাম-ঘুরতামও সেই তালেই। কিন্তু ট্রাভেল ব্যবসা ছেড়ে কম্পিউটারের ব্যবসায় এসে দেশ বিদেশ ঘোরার নেশাটা উধাও হয়ে গেছে। আশপাশে ছোটখাটো ভ্রমণ করলেও লম্বা ফ্লাইটের নাম শুনলেই আমি পিছুটান দিই। আগেও এমনটাই করতাম। ৯৭ সালে আমেরিকা গিয়েছিলাম ম্যাক ওয়ার্ল্ডে যোগ দিতে। মেলাটি ছিল অসাধারণ। তবে সানফ্রান্সিকো শহরের সেতুটি আর ট্রামলাইন ছাড়া ভালো লাগার কিছুই ছিল না। পাপের শহর নামে খ্যা লাসভেগাস চুল পরিমাণও ভাল লাগেনি। সেখান থেকে বিরক্ত হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরেছিলাম। ২০০৯ সালে বিসিএসের সভাপতি হিসেবে কোরিয়া গেলাম একবার। সেবারও সিডিউলের আগেই চলে এসেছিলাম। শরীরে চিনির বাড়তি-কমতিতে বয় পেয়ে ঘরমুখী হয়েছিলাম। যদিও কোরিয়াতে ভাল চিকিৎসা হতে পারতো-তথাপি মনে হয়েছিল রাতে একলা রুমে হাইপো হয়ে মরে গেলে দেশটা দেখা হবে না। ব্যবসার কাজে কোরিয়ায় অবশ্য এর আগে ৯০ দশকে আরও একবার গিয়েছিলাম। তখন ভ্রমণের সময় কমাইনি। প্রায় দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম ইউপিএস উৎপাদন কারখানায়। ব্রিটেনে গেছি যখন, তখন ইউরোপের অন্য দেশেও গেছি। মাঝখানে একবার তাইওয়ান গেছি এ্যাপিক্টার সম্মেলনে। এই অঞ্চলের তারুণ্য ও তাদের ডিজিটাল রূপান্তর দেখার সুযোগ হয়েছিল তখন। শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও হংকং তো গেছি বহুবার। সৌদি আরব ছাড়া আফ্রিকা মহাদেশে যাইইনি। বিদেশ সফরের দীর্ঘতমটি সৌদি আরবেই। মাসের বেশি সময় ছিলাম। প্রতি রাতে ওমরা করতাম। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা যাবার কথা ছিলো। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি। ফিলিপাইন গেছি একবার। সেটাও পর্যটন শিল্পের হয়ে সরকারী সফরে। অস্ট্রেলিয়া যাবার আমন্ত্রণ গ্রহণই করিনি। এক কথায় বলতে গেলে ভারত, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এসব দেশেই বেশি ঘোরাফেরা করেছি। ভারত মহাসাগরের দেশগুলো নিয়ে একটি ছোট ভ্রমণ কাহিনীও আছে। সানফ্রান্সিসকো ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটি লিখেছিলাম। কিন্তু সেটি এখন হয়তো আর খুঁজে পাব না। ‘৭৫ সালে জীবনের দ্বিতীয় পেশা হিসেবে ট্রাভেল এজেন্সিকে বেছে নিয়েছিলাম তখনই আকাশযাত্রার একটি বাড়তি আকর্ষণ ছিল। কিন্তু দিনে দিনে সেটি হারিয়ে গেছে। এখন আকাশে উড়তে ইচ্ছাই হয় না। দেশের ভেতরেও একটু বেশি সময় লাগলেও সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আমি আকাশপথ এড়িয়ে সড়ক বা রেলপথে চলি। স্মরণ করতে পারি রেলপথের দীর্ঘ যাত্রাটি সম্ভবত জার্মানিতে। ‘৭৯ সালে একবার ফ্রাঙ্কফুর্ট সড়কপথে এবং মিউনিক থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট ট্রেনে এসেছিলাম। ২০০৫ সালে সিবিট মেলায় অংশ নিতে ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে ট্রেনেচড়ে হ্যানোভার গিয়েছিলাম। হ্যানোভার থেকে প্লেনে না এসে বাসে এসেছিলাম লন্ডন। হ্যানোভারের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। মেলাটি বিশ্বের সকল ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রধান কেন্দ্র ছিল। ছিল বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। কিন্তু আমরা সেই বিশ্বসভায় নিজেদেরকে তেমনভাবে তুলে ধরতে পারিনি। তবে বার্সিলোনার ১৮ ও ১৯ সালের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রেক্ষিত হিসেবে অসাধারণ একটি ভূমিকা রাখবে।

(চলবে)
লেখক : মোস্তাফা জব্বার,  তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি নিয়ে টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশের উদ্যোগ
কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে অপো বাংলাদেশ
মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা কোর্সে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বিকাশ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪ হাজার শিক্ষার্থী পেল নতুন ল্যাপটপ
এনাবলার অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলো মাস্টারকার্ড
জাইকার সহযোগিতায় বি-জেট ও বি-মিট প্রোগ্রামের সমাপনী প্রতিবেদন প্রকাশ
দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণে ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’
এআই অলিম্পিয়াডের বৈজ্ঞানিক কমিটির সদস্য হলেন বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন
সিআইপি সম্মাননা পেলেন উল্কাসেমির সিইও মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান
রিয়েলমি সি৭৫ পানির নিচে সচল থাকবে ১০ দিন