বুধবার ● ২৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » ওপেনএআইতে মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ শতকোটি ডলার
ওপেনএআইতে মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ শতকোটি ডলার
ওপেনএআই নামে একটি স্টার্টআপে শতকোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে মার্কিন সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফট। গাড়ি নির্মাতা টেসলারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে সৃষ্ট অংশীদারত্বের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিদ্বন্দ্বী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অনেকের দাবি, বিশ্বের জন্য আর্শীবাদ হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে প্রযুক্তি বিশ্ব। কেউ কেউ বলছেন, ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকই বেশি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। এ প্রযুক্তির কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতের অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাবেন।
বিশেষ কোনো কাজ কিংবা নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে স্প্যাম ই-মেইল ফিল্টার করা এবং ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিনিয়োগের মাধ্যমে সৃষ্ট অংশীদারত্বের আওতায় মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআই যৌথভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলতে কাজ করবে।
ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের সঙ্গে অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়ে ওপেনএআই জানিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার মানুষ যা চায় তা পূরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এনে দেবে। প্রত্যেক মানুষের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন কিছু কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা এখন আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
এ অংশীদারত্বের আওতায় শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি উন্নয়নই নয়, মাইক্রোসফটের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগকে সুপার কম্পিউটিং প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করবে। ফলে মাইক্রোসফটের এআইভিত্তিক সেবাদান কার্যক্রম আরো জোরদার হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তিতে ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করেছিল ওপেনএআই। বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় ওপেনএআইয়ের এক্সক্লুসিভ ক্লাউড সার্ভিস সরবরাহকারীও হবে মাইক্রোসফট। এছাড়া ওপেনএআই মাইক্রোসফটকে নিজেদের বেশকিছু প্রযুক্তির জন্য লাইসেন্সও প্রদান করতে পারবে।
২০১৬ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছিল ওপেনএআই। কিন্তু পুনর্গঠনের মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২০১৬ সাল থেকে যৌথভাবে কাজ করে এলেও এবারই আনুষ্ঠানিক অংশীদারত্বে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে মাইক্রোসফট ও ওপেনএআই।