মঙ্গলবার ● ২৩ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায় ভারতের টেক মাহিন্দ্রার
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায় ভারতের টেক মাহিন্দ্রার
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে ব্যাংকিং, পরিবহন ও নাগরিক সেবা খাতে প্রযুক্তি সেবা দিতে আসছে ভারতের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন কনসাল্টিং এবং বিজনেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রা।
ব্যাংকিং, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক ও নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারা বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন টেক মাহিন্দ্রার করপোরেট অ্যাফেয়ার্স শাখার প্রধান সুজিত বকশি।
সোমবার রাজধানীর হোটেল আমারিতে ‘ব্যাংকিং নেক্সট: ডিজিটাল লিডারশিপ কনক্লেভ’ শিরোনামের এক আয়োজনে টেক মাহিন্দ্রার এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, তারা বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর কার্যক্রম ডিজিটাইজেশনে সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়।
এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে।
সুজিত বকশি বলেন, “এশীয় অঞ্চলের সবচেয়ে উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমরা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি দেখেছি, এখানকার ডিজিটাল টেকনোলজির প্রবৃদ্ধি আমাদের আকর্ষণ করেছে। টেক মাহিন্দ্রার ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। স্থানীয় প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে বাস্তব করতে চাই।”
৪.৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রা ফরচুন ৫০০ কোম্পানিসহ ৯৩৮ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি টেলিকম, ব্যাংকিং, ফিনান্সিয়্যাল সার্ভিস এবং ইনস্যুরেন্স খাতে সহায়তা করে। টেকএমনেক্সট চার্টারের অংশ হিসেবে ব্লক চেইন, ফাইভ জি টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, অটোমেশন, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) নিয়ে কাজ করছে টেক মাহিন্দ্রা।
২০১৮ সালে ফোর্বস গ্লোবাল ডিজিটালের সেরা ১০০-র তালিকায় স্থান করে নিয়েছে টেক মাহিন্দ্রা।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা এখন ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছি, আগামী ৩-৪ বছরে আমাদের টার্গেট আমরা ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাব। সেজন্য আমাদের এখন আইটি পণ্য উৎপাদনের সময় আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, বিগ ডেটা, ব্লক চেইন, আইওটির বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। ১২টি হাইটেক পার্কে ৩ লাখ তরুণকে আমরা নিয়োগ দিতে চাই আগামী ক’বছরে মধ্যে। সেখানে আমরা এ ধরনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।”
পলক জানান, এখনও ২০০৮টি সেবাকে ডিজিটাইজড করতে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের আসার কথা থাকলেও তিনি ঢাকার বাইরে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান বিশ্বদীপ দে।
অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কর্ণফুলী গ্রুপের কর্ণধার,সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।