বুধবার ● ১০ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » আইটি সেক্টর থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি হচ্ছে: সংসদে পলক
আইটি সেক্টর থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি হচ্ছে: সংসদে পলক
বাংলাদেশ প্রচলিত অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন দেশী বিদেশী ১০ কোম্পানি আমাদের দেশে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার নির্মাণ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, প্রতিবছর আমাদের ৪ কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করতে হয়।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য চারটি সেক্টরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমত হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, সার্ভিস এবং গবেষণা। দশ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির অবস্থা ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। সরকারেরে নানা পদক্ষেপের ফলে এখন আইটি সেক্টর থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি করছি।
তিনি বলেন, আমাদের ট্রেডিশন অর্থনীতির সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে আমরা ধাপে ধাপে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ৯৪টি কম্পোনেন্টের ওপর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনায় দেশী-বিদেশী ১০টি কোম্পানি তাদের ফ্যাক্টরি সেট করেছে। বাংলাদেশের ওয়ালটন, সিম্ফনি যেমন তেমন কোরিয়ার স্যামসাং এবং এলজিও কোম্পানি তাদের ফ্যাক্টরি সেট করে স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ নির্মাণ পরিকল্পনা স্থাপন করেছে। যদি বাংলাদেশে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার নির্মাণ করতে পারি তাহলে কত তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান হবে একবার ভেবে দেখুন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের সকল বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জমি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং গাইডলাইনের আলোকে বিভাগ ও জেলাগুলোতে এসব পার্ক নির্মাণ করা হবে।
সরকারী দলের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে একটি আইসিটি প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তথ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কোন পরিকল্পনা তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদফতরের নেই।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশাল বেকার সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তির কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক নানা পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৮৮ জনকে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ১০ হাজার ৮২১ জনের আইসিটি শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে। ই-গবর্নেন্স ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে ২ হাজার ৯৭৫ জন সরকারী কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।