বুধবার ● ১০ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » সব জেলায় হবে হাই-টেক পার্ক: সংসদে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
সব জেলায় হবে হাই-টেক পার্ক: সংসদে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
দেশের সব বিভাগ ও জেলায় হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জমি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং গাইডলাইনের আলোকে বিভাগ ও জেলাগুলোতে এসব পার্ক নির্মাণ করা হবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মোছা. খালেদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে একটি আইসিটি প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশাল বেকার সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তির কর্মী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) নানা পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৮৮ জনকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার ৮২১ জনের আইসিটি শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে। ই-গভর্নেন্স ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে দুই হাজার ৯৭৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক আরও জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২১ জেলায় সাড়ে ১০ হাজার নারীর স্ব-কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির জন্য সরকারি অর্থায়নে আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ৪৯টি জেলায় সরকারি অর্থায়নে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, মাগুরা, নেত্রকোনা জেলায় এবং নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলায় ২১০০ জনের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় কোনও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই।
প্রতিমন্ত্রী জানান, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ইতোপূর্বে সরকারি অর্থায়নে ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে ২০০ ঘণ্টা করে ৫০ দিনব্যাপী তিনটি কোর্সে (গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং) শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রফেশনাল আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল, বর্তমানে নেই। নতুন করে ৪০ হাজার জনের প্রফেশনাল আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ শুরু হলে কেন্দ্র খোলা হবে।