রবিবার ● ৩০ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » আইসিটি শিল্প ও বানিজ্য » ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে সরকার
ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে সরকার
ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে সরকার। ই-ক্যাবের দাবি অনুযায়ী খাতটিকে সম্পূর্ণ ভ্যাটমুক্ত রাখা না হলেও পণ্য মূল্যের পরিবর্তে ভ্যালু অ্যাডেড সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
এর ফলে অনলাইনের মাধ্যমে যদি ১০০ টাকার একটি পণ্য কেনা হয় এবং ই-কমার্স কোম্পানির প্রান্তিক ভোক্তার কাছে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বাবাদ যদি ৫ টাকার মূল্য সংযোজিত হয়, তবে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের ওই ভ্যালু অ্যাডেড মূল্যের উপর ভ্যাট সংগ্রহ করবে পাঁচ শতাংশ বা ০.২৫ টাকা।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স খাতে পণ্যে দামের উপর সাড়ে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয়েছিলো। সেক্ষেত্রে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে গেলে অতিরিক্ত বিক্রিত পণ্য বা সেবার দামের ওপর ৭.৫ টাকা অতিরিক্ত ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছিলো। প্রস্তাবনার পর থেকেই ই-ক্যাব এটি প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে।
ই-কমার্স সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব) অনলাইনে পণ্য ও সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার ও ই-কমার্স সংজ্ঞা পরিবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভগের সাথে কয়েক দফায় আলোচনা করে এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছে। ই-ক্যাবের দাবির সাথে সম্মতি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগ এনবিআরকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে।
ই-ক্যাবের প্রত্যাশা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ই-কমার্সের মত সম্ভাবনাময় খাতকে নতুন এসআরও জারি করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট মুক্ত রাখা। এতে করে হাজারো নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং ডিজিটাল বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। ই-কমার্স খাতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট মওকুফ রাখার প্রস্তাব এখনো আলোচনা পর্যায়ে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।