মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » টাইগার চ্যালেঞ্জে দেশী উদ্ভাবকদের ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধার ঘোষনা, ২ জুলাই থেকে আবেদন শুরু।
টাইগার চ্যালেঞ্জে দেশী উদ্ভাবকদের ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধার ঘোষনা, ২ জুলাই থেকে আবেদন শুরু।
বাংলাদেশের কল্যাণে অবদান রাখবে এমন যে কোনো টেকসই ও উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে বিজয়ীরা পাবে প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর এমআইটি সলভ নামের প্রতিযোগিতার আদলে এমআইটির সঙ্গে যৌথভাবে ’’টাইগার চ্যালেঞ্জ’’ প্রতিযোগিতার আয়োজক টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন। দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলসমূহ প্রায় দুই মিলিয়ন ডলারের আর্থিক, কারিগরি, এবং বিনিয়োগ সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার ১৮ জুন সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত টাইগার চ্যালেঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি; বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, টাইগার আইটি আমেরিকার বিজ্ঞানী ইলিয়া নিকিফোরোভ, টাইগার আইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমূখ।
এই আয়োজনটি হবে দুইটি পর্বে। বাংলাদেশ পর্বে ফাইনালিস্টদের মধ্যে থেকে একটি উদ্যোগকে সেরা ঘোষণা করা হবে। উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিজয়ীকে প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়া হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চ্যালেঞ্জের ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে। অনলাইন প্রাপ্ত আবেদন সমূহ এমআইটির বিচারকরা যাচাই করে মোট ১০টি উদ্যোগকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করবেন। অক্টোবর মাসে, আন্তর্জাতিক জুরীবোর্ডের সামনে ফাইনালিস্টরা তাদের উদ্যোগ তুলে ধরবেন এবং নির্বাচিত হবেন। ছাত্র, শিক্ষাক, স্টার্টআপ কোম্পানি কিংবা হবু উদ্যোক্তা- যে কেউ এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারবে। একই সঙ্গে একটি বৈশ্বিক পর্বও থাকবে। এ পর্বের বিজয়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্বের বিজয়ীদের একটি যৌথ পর্ব অুনষ্ঠিত হবে ডিসেম্বর মাসে। বৈশ্বিক পর্বে চূড়ান্ত বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১.৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। তবে, শর্ত থাকবে এই বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ বাংলাদেশেই কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আর এ জন্য নানামুখী উদ্যোড় নেওয়া হচ্ছে। চলতি বাজেটে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন - এ তহবিল আগামীতে আরও বাড়বে। আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এবং প্রকল্পের পক্ষ থেকে ভেনচার বিনিয়োগের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ নামে কোম্পানি তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জের বিজয়ীদেরও সরকারের পক্ষ থেকেও নানামূখী সুবিধা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন , বাংলাদেশের প্রকৃত সম্পদ ঞলো এর তরুণ মেধাবীগোস্টী। আমাদের সীমিত সম্পদ তাদের কল্যানে এমনভাবে খরচ করা উচিৎ যাতে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই আয়োজন মেধাবীদের
এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
টাইগার আইটি আমেরিকার বিজ্ঞানী ইলিয়া নিকিফোরভ তার উপস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, বিগডেটার মতো প্রযুক্তি বাংলাদেশের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ভাল ভূমিকা রাখতে পারে।
স্বাগত বক্তব্যে টাইগার আইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান এই চ্যালেঞ্জ আয়োজনের নেপথ্যের কারণ উল।লেখ করে বলেন এর মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে উদ্ভাবনী প্রজন্ম পেতে আমরা এগিয়ে যাবো।
জুলাই মাসের ২ তারিখ থেকে আগ্রহীরা এই সাইটে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন - http://tigeritfoundation.org/challenge/
এছাড়া টাইগার চ্যালেঞ্জর হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে এর ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/TigerChallenge/ থেকে। জুলাই মাসের ২ তারিখ থেকে আগ্রহীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন - http://tigeritfoundation.org/challenge/ এই সাইটে। এছাড়া টাইগার চ্যালেঞ্জর হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে এর ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/TigerChallenge/ থেকে।