বুধবার ● ১৩ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » আইসিটি বিশ্ব » ২০১৬’র মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক ১.৩ জেটাবাইটস ব্যান্ডউইথড ছাড়িয়ে যাবে
২০১৬’র মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক ১.৩ জেটাবাইটস ব্যান্ডউইথড ছাড়িয়ে যাবে
বিশ্বে এখন সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। একে বিশ্লেষকেরা ইন্টারনেট ‘বুম’ বলে অভিহিতি করছেন। এ মুহূর্তে খুদে মোবাইল ইন্টারনেট পণ্য এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের প্রভাবে আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক চারগুণ হবে। সিসকো পরিচালিত গবেষণা ইনডেক্স এ তথ্য দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য সিসকো ভিজ্যুয়াল নেটওয়ার্কিং ইনডেক্স সূত্র মতে, আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক ১.৩ জেটাবাইটস ব্যান্ডউইথড ছাড়িয়ে যাবে। এখানে ১ জেটাবাইটস (১ ট্রিলিয়ন গিগাবাইটস)। ২০১১ সালের ইন্টারনেট ট্রাফিকের তুলনায় ২০১৬ সালে এটি হবে চারগুণ। সিসকো গবেষণামাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিসকো সহ-সভাপতি সুরাজ শেঠি জানান, আমাদের জীবনগতি প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় নিয়ামক ইন্টারনেট। অনলাইন নেটওয়ার্কে মাল্টিপল পণ্যের সুবাদে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট হয়ে উঠবে অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এরই প্রভাব পড়বে ইন্টারনেট বিশ্বে।
ভবিষ্যতের ইন্টারনেট বিশ্বে ভিডিও ফোনকল, ট্যাবলেট পণ্যে চলচ্চিত্র, ওয়েবনির্ভর টিভি এবং ডেস্কটপ ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যাপক চাহিদা তৈরি করবে। এর প্রভাবে বিপুল পরিমাণ (জেটাবাইটস) ইন্টারনেট ট্রাফিক (ব্যান্ডউইথড) প্রয়োজন হবে। নাটকীয় পরিবর্তনে এখনকার তুলনায় ইন্টারনেট ট্রাফিকের চাহিদা চারগুণ বাড়বে।
২০১৬ সাল নাগাদ আলাদাভাবে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ১ হাজার ৮৯০ কোটি সংযোগ ছাড়িয়ে যাবে। তখন প্রতিজনের জন্য গড়ে ২.৫টি ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। ২০১১ সালের হিসাবে এ সংখ্যা ১ হাজার ৩০ কোটি। ২০১৬ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৩৪০ কোটি সংযোগের ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরি হবে। এটি বিশ্বজনসংখ্যার ৪৫ ভাগ মানুষকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কভুক্ত করবে।
এ মুহূর্তে ২০১১ সালের হিসাবে জনপ্রতি গড়ে ৯ মেগাবিটস পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করে। কিন্তু ২০১৬ সালে তা বেড়ে হবে ৩৪ এমবিপিএস। এ ছাড়াও ২০১৬ সাল নাগাদ বিশ্ব ইন্টারনেট ট্রাফিকের নেপথ্যে থাকবে ওয়াইফাই সংযোগ। সিসকো পরিচালিত গবেষণা মাধ্যম এসব তথ্যই নিশ্চিত করেছে।
এ অর্থে ২০১৬ সালে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে। আর গড় ইন্টারনেট ট্রাফিকের ব্যান্ডউইথ চারগুণে পৌঁছবে। আর বিশ্ব গিগাবাইটের হিসাব ছাড়িয়ে পৌঁছে যাবে জেটাবাইটের ভুবনে।